ইডেনে হাসিনাকে আমন্ত্রণ, সঙ্গে কে তা নিয়ে কৌতূহল

এই প্রথম ভারতের মাটিতে টেস্ট খেলতে আসছে বাংলাদেশ। আগামী ২২ নভেম্বর ইডেনে হবে সেই টেস্ট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৯ ০৫:৫৭
Share:

অভিনন্দন: নতুন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লাগানো হয়েছে ব্যানার। নিজস্ব চিত্র

ইডেনে ভারত বনাম বাংলাদেশ ঐতিহাসিক টেস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

Advertisement

এই প্রথম ভারতের মাটিতে টেস্ট খেলতে আসছে বাংলাদেশ। আগামী ২২ নভেম্বর ইডেনে হবে সেই টেস্ট। যেখানে দুই বাংলার আবেগও জড়িয়ে থাকবে। নতুন বোর্ড প্রেসিডেন্ট উৎসবের আমেজে রাঙিয়ে তুলতে চান সেই স্মরণীয় মুহূর্ত। শেখ হাসিনার কাছে আমন্ত্রণ ইতিমধ্যে চলে গিয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে আমন্ত্রণ গ্রহণ করে এখনও কোনও উত্তর না এলেও মনে করা হচ্ছে যে কোনও মুহূর্তে চলে আসতে পারে। তবে ধরেই নেওয়া যায়, এমন এক ঐতিহাসিক টেস্টে থাকার বিষয়ে তিনি সম্মতিই দেবেন।

আগ্রহ তৈরি হয়েছে, ভারতের পক্ষ থেকে এই টেস্ট ম্যাচের উদ্বোধনে কে থাকবেন? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী? নাকি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? অথবা দু’জনকেই একসঙ্গে দেখা যাবে এই ঐতিহাসিক মঞ্চে? এ নিয়ে আগ্রহ বেড়ে যাওয়ার কারণ বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে সৌরভ নয়াদিল্লিতে অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যার পরে জল্পনা শুরু হয়েছে, তিনি নাকি আগামী দিনে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। যদিও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন সৌরভ।

Advertisement

শুধু তাই নয়। এই টেস্ট ম্যাচকে কেন্দ্র করে দু’দেশের কোন কোন ব্যক্তিত্ব প্রধান অতিথি হতে চলেছেন, তা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। তথ্যভিজ্ঞ মহলের কেউ কেউ বুধবার রাতে জানিয়েছেন, এ সব ক্ষেত্রে ‘প্রোটোকল’ হচ্ছে, যখন অন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী আসেন, তখন দেশের প্রধানমন্ত্রীর অফিস (পিএমও) থেকেই ঠিক করা হয়, কারা আসবেন। সেই অনুমতি পাওয়ার পরেই অতিথিদের তালিকা তৈরি হয়। সৌরভও এপার বাংলার মতোই ওপর বাংলাতেও সমান ভাবে জনপ্রিয়। টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে ঢাকাতেই তাঁর অভিযান শুরু হয়েছিল। সেই টেস্টে জিতেছিল ভারত। ফলে তিনিও এই টেস্টকে উৎসবের রংয়ে রাঙিয়ে দিতে চান।

বোর্ড প্রেসিডেন্টের গুরুদায়িত্ব নেওয়ার মধ্যেই এ দিন ইডেনে এসে সিএবি নিয়েও নানা পরিকল্পনার কথা শুনিয়েছেন সৌরভ। লর্ডসের আদলে ইডেনেও অত্যাধুনিক ইন্ডোর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। যেখানে বোলার এবং ব্যাটসম্যানরা একটি বল হয়ে যাওয়ার পরেই বড় পর্দায় প্রযুক্তির মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে বুঝে নিতে পারবেন কোথায় তাঁদের ভুল হচ্ছে। তার পাশেই বড় করে তৈরি করা হবে কনফারেন্স রুম। মঙ্গলবারই সৌরভ জানিয়েছিলেন, ইডেন থেকেই বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেশির ভাগ কাজ করতে চান।

ক্রিকেটারজীবনে তাঁকে নিয়ে যে উন্মাদনা ছিল, বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেও তেমনই উদ্বেল হয়ে পড়েছেন ভক্তেরা। তারই মধ্যে সৌরভের দু’তিনজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু তিনি বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে কলকাতা এবং গোটা বাংলায় অভিনন্দনজ্ঞাপক হোর্ডিং ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন। শহরের বেশ কিছু জায়গায় ইতিমধ্যে সেই হোর্ডিং লাগানোও হয়ে গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন