স্বপ্নার মন্ত্র জানতে চাইলেন সৌরভ

গত তিন বছর ধরে সৌরভ এই ম্যারাথনের মুখ। তিনি এশিয়াড সেরাকে পাশে নিয়ে কলকাতার মানুষদের উৎসাহ দিতে বললেন, ‘‘স্বপ্নার মতো যদি সোনা জয়ের পরে আপনার জন্যও জাতীয় সঙ্গীত বাজুক চান, তা হলে এখন থেকেই দৌড় শুরু করুন।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:১২
Share:

আড্ডা: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও স্বপ্না বর্মণ। বৃহস্পতিবার। ছবি: সুমন বল্লভ

এক জন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। আর এক জন সদ্য এশিয়ান গেমসে সোনা জয়ী। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং স্বপ্না বর্মণ। মধ্য কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে টাটা স্টিল কলকাতা ২৫ কে ম্যারাথন অনুষ্ঠানে দুই অতিথিকে নিয়ে প্রবল উৎসাহ ছিল বৃহস্পতিবার। ভারতীয় ক্রীড়াজগতের দুই তারকার আলাপচারিতায় জমে গেল অনুষ্ঠান।

Advertisement

গত তিন বছর ধরে সৌরভ এই ম্যারাথনের মুখ। তিনি এশিয়াড সেরাকে পাশে নিয়ে কলকাতার মানুষদের উৎসাহ দিতে বললেন, ‘‘স্বপ্নার মতো যদি সোনা জয়ের পরে আপনার জন্যও জাতীয় সঙ্গীত বাজুক চান, তা হলে এখন থেকেই দৌড় শুরু করুন।’’ প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক স্বপ্নার কাছে জানতে চান, দৌড়ে ভাল হতে গেলে মূলমন্ত্র কী? স্বপ্না বলেন, ‘‘আমি তো হেপ্টাথলিট। আমার সাতটা ইভেন্টের একটা ৮০০ মিটার। তাই এই ইভেন্টে পারদর্শী হতে আমাকে রোজ পরিশ্রম করতে হয়। সপ্তাহে তিন-চার দিন আমার কোচ ১০০০ মিটার করে দৌড় অনুশীলন করান। খুব কষ্ট হয়, তবু লড়াই ছাড়লে চলবে না।’’ মুখে না বললেও স্বপ্নার কথাতেই পরিষ্কার তাঁর মূলমন্ত্র, সাফল্যের জন্য প্রবল পরিশ্রম করে যাওয়ার জেদ। স্বপ্না আরও বলেন, ‘‘আমি প্রথম দৌড় শুরু করি কারণ পরিবারের জন্য আমার একটা চাকরি খুব দরকার ছিল। সেই তাগিদটা বড় ভূমিকা নিয়েছে বলা যায়।’’

প্রশ্ন ওঠে, এশিয়াডে সোনা জেতার পরে তাঁর জন্য জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময় কেমন অনুভূতি হচ্ছিল? স্বপ্না বলেন, ‘‘আমি তো সল্টলেকের সাই হস্টেলে থাকি। ওখানে সকালে জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময় সবাই যখন গাইত, আমার মনে হত, এক দিন আমার জন্যও জাতীয় সঙ্গীত বাজবে। জাকার্তায় নামার আগেও এই স্বপ্ন দেখতাম। ভাবতাম আমাকে প্রথম হতেই হবে। সেই লক্ষ্য অর্জন করতে পেরে খুব ভাল লেগেছে। যখন জাকার্তায় আমি পোডিয়ামে ওঠার পরে জাতীয় সঙ্গীত বাজছিল, আমার জন্য সেটা খুব গর্বের মুহূর্ত।’’

Advertisement

স্বপ্নার মতো আরও অ্যাথলিট উঠে আসতে যাতে উৎসাহ পায়, কলকাতার মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত জীবন অনুসরণ করতে আরও এগিয়ে আসেন, সেই লক্ষ্যে এ বার ১৬ ডিসেম্বর কলকাতা ২৫ কে দৌড় আয়োজন করা হয়েছে। গত বছর ১৫ হাজার মানুষ যোগ দিয়েছিলেন এই দৌড়ে। এ বার সংখ্যাটা ২০ হাজারে নিয়ে যাওয়ার ডাকও দেন সৌরভ। তিনি বলেন, ‘‘আমার পরিবারেও বেশ কয়েক জন এই দৌড়ে যোগ দেয়। আমি পুরো দৌড় শেষ করতে পারি না। তবে ২-৩ মাস অনুশীলন করলে আশা করি আমিও পারব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন