সচিন তেন্ডুলকরের আত্মজীবনী নিয়ে ইতিমধ্যেই বিশাল উত্সাহ তৈরি হয়েছে। আপনারা এই লেখা পড়ার সময় বইয়ের অনুষ্ঠানিক প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। আর ভারত যে রকম ক্রিকেট পাগলদের দেশ, এর মধ্যেই অনেকের ওটা পড়া হয়ে গিয়ে থাকলেও অবাক হব না। বলতে দ্বিধা নেই আমি নিজেই বইটা পড়ার জন্য মুখিয়ে আছি।
গত ক’দিন সংবাদমাধ্যমে বইয়ের যে নির্বাচিত অংশ প্রকাশ হয়েছে তার কিছু কিছু আমিও পড়েছি। সবচেয়ে ভাল লেগেছে এটা দেখে যে, সচিন অপ্রিয় সত্যিটা অকপটে তুলে ধরেছে। ওর কলমে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে এসেছে দেখে ব্যক্তিগত ভাবে খুব সন্তুষ্ট লাগছে। ২০০৫-এর জিম্বাবোয়ে সফর এবং তার পর যা যা ঘটেছিল, তার সাক্ষী আমিও ছিলাম এবং সচিন কোন জায়গা থেকে কথাগুলো লিখেছে, বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না। আসলে গ্রেগ চ্যাপেলের সঙ্গে আমার নিজের ঝামেলার মূলেও ছিল সিনিয়রদের ছেঁটে ফেলার প্রসঙ্গ। চ্যাপেল সিনিয়রদের বাদ দিতে মরিয়া ছিলেন। আমি প্রবল বিরোধিতা করেছিলাম। বলেছিলাম, সব কিছু ওঁর মর্জিমাফিক হতে পারে না। গোটাটাই ছিল টিমকে কে নিয়ন্ত্রণ করবে, সেই প্রশ্ন।
যাই হোক ভারতীয় ক্রিকেট গ্রেগ চ্যাপেল জমানাকে অনেক পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে। আর গত তিন-চার সপ্তাহে টিম নিয়ে কিছু খুব পরিণত সিদ্ধান্ত নেওয়া হল দেখে আমি খুব খুশি। যেমন নির্বাচকেরা যে ভাবে রোটেশন নীতি কাজে লাগাচ্ছেন। কয়েক জন প্রথম সারির ক্রিকেটার যারা সারা বছর খেলে যায়, তাদের অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় সিরিজের আগে বিশ্রাম দেওয়া একদম সঠিক সিদ্ধান্ত। তাতে অনেক তরতাজা হয়ে ওরা অস্ট্রেলিয়ায় যাবে। অন্য দিকে, এর আগে অশ্বিনকে আর এখন জাডেজাকে বিশ্রাম দিয়ে অক্ষর পটেলকে যে সুযোগগুলো দেওয়া হচ্ছে, সেটাও দূরদর্শিতার পরিচয়। অক্ষরকে সুযোগ দেওয়ায় আরও একজন স্পিনিং অল-রাউন্ডার পেয়েছে ভারত। ছেলেটার বড় ম্যাচ খেলার মানসিকতা দারুণ! কটকে বোলিং কম্বিনেশন নিখুঁত হয়েছিল। বিশেষ করে সিমারদের দেখে আমি মুগ্ধ। তবে বরুণ অ্যারনের মতো বোলারকে যত্ন করে গড়ে তোলা জরুরি। টিম ম্যানেজমেন্টের উচিত, ওর ফিটনেসের দিকটায় নজর দেওয়া।