বিশ্বকাপের আসল যুদ্ধগুলো এ বার শুরু হচ্ছে। আর কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচটাই একেবারে মারকাটারি! এক দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা। যে টিমে এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ম্যাচ উইনার এবি ডে’ভিলিয়ার্স। কিন্তু রেকর্ড বলছে টিমটা ধারাবাহিক ভাবে নক আউটে পৌঁছে ধাক্কা খায়। অন্য দিকে শ্রীলঙ্কা। গত বারো বছরে যাদের বিশ্বকাপ রেকর্ড অসাধারণ হলেও কাপটা অধরা থেকেছে।
এই বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার পারফরম্যান্সে বেশ ওঠা-পড়া আছে। তবে সেটাকে নেতিবাচক ভাবার কারণ নেই। বরং দু’টো হার থেকে ওরা ভুলত্রুটি শুধরে ফেলার সুযোগ পেয়েছে। সঙ্গে নিশ্চয়ই হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে যে, খারাপ দিনগুলো কেটে গেল। বিশ্বের সেরা সব ম্যাচ উইনার রয়েছে টিমে। ডে’ভিলিয়ার্সের মতো বিস্ফোরক ক্রিকেটার তো একাই কাপ জেতানোর ক্ষমতা রাখে। পারফরম্যান্স নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার সমস্যা হতে পারে মানসিকতা। ‘চোকার্স’ তকমাটা ওদের ভুলতে হবে। হেরে যাব, এই আতঙ্কটা কাটিয়ে উঠতে পারলে আমার বিশ্বাস, কাপ জেতার অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
শ্রীলঙ্কা আবার টানা দু’বার রানার্স হওয়ায় এ বার নিশ্চয়ই জিততে মরিয়া। কুমার সঙ্গকারার মতো আগাপাস্তলা পেশাদার ক্রিকেটারকে টিমে পাওয়ার স্বপ্ন প্রত্যেক ক্যাপ্টেন দেখে। জীবনের সেরা ফর্মে থাকা সঙ্গকারার টানা পাঁচ নম্বর সেঞ্চুরিটা আজ না হওয়ার কোনও কারণ দেখছি না। ও খেলে দিলে শ্রীলঙ্কা কিন্তু ফাইনালে ওঠার হ্যাটট্রিক করবে।
তবু কেন জানি মনে হচ্ছে এ বার ভাগ্যদেবীর দক্ষিণ আফ্রিকার উপর প্রসন্ন হওয়ার সময় এসেছে! টিমটার শক্তি বিচার করে দেখলে, শেষ চারে ডে’ভিলিয়ার্সদেরই দেখতে পাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার আবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নামবে ভারত। গতবারের চ্যাম্পিয়নরা অবশ্যই ফেভারিট। তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় আর নিউজিল্যান্ড ম্যাচের পারফরম্যান্স বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। ওদের ব্যাটিংয়ের টপ অর্ডার দারুণ ছন্দে। পেসাররাও টুর্নামেন্টে দাগ কেটেছে। তবু মানতেই হবে ক্লাসের দিক দিয়ে ভারত অনেক এগিয়ে। টিমটার প্রত্যেক ক্রিকেটার বড় মঞ্চে জ্বলে উঠতে ভালবাসে। তাই লড়াই একতরফা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। অবশ্য আন্ডারডগদের দারুণ পছন্দ করে অস্ট্রেলিয়ানরা। তাই বাংলাদেশের হয়ে গলা ফাটাবে। কিন্তু প্রশ্ন হল, ভারতীয় সমর্থকদের চিৎকার ছাপিয়ে সেটা আদৌ কানে আসবে কি?