শেষ দিনের ডানেডিন পিচ আর নিউজিল্যান্ডের স্পিনাররা কি জমিয়ে দিতে পারবেন প্রথম টেস্ট? দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে এগিয়ে ১৯১ রানে। হাতে চার উইকেট। এই অবস্থায় নিউজিল্যান্ড তাকিয়ে দুই স্পিনার— মিচেল স্যান্টনার এবং জীতন পটেলের দিকে। ডানেডিনের এই পিচে শেষ দিনে যদি তারা খুব তাড়াতাড়ি শেষ করে দিতে পারেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকা-কে টানছিলেন ডিন এলগার এবং ফাফ দু প্লেসি। কিন্তু এলগারকে ৮৯ রানে ফিরিয়ে দেন পটেল। দু প্লেসি অবশ্য ৫৬ রানে অপরাজিত আছেন। কিন্তু শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা বড় ধাক্কা খায় কুইন্টন ডি ককের উইকেট হারিয়ে। তাঁকেও ফিরিয়ে দেন পটেল।
শনিবার সারা দিনই যা নাটক হওয়ার হয়েছে এলগারকে ঘিরে। ৭৩ রানের মাথায় আম্পায়ার এলগারকে কট বিহাইন্ড দিলেও শেষ পর্যন্ত ডিআরএস নিয়ে বেঁচে যান দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার। এর আগে আবার জিমি নিশামের বলে এলগারের ক্যাচও ফেলেছিলেন নিউজিল্যান্ড উইকেটকিপার ব্র্যাডলি ওয়াটলিং। প্রায় ১৩ ঘণ্টা উইকেটে থাকার পরে পটেলকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে মারতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান এলগার।
আরও পড়ুন: কামিন্সকেই এনে ফাটকা অস্ট্রেলিয়ার
রবিবার শেষ দিনে বৃষ্টির একটা আশঙ্কা আছে ঠিকই, কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার ত্রাতার ভূমিকায় প্রকৃতি নয়, হাজির হতে পারেন দু প্লেসি। ১৪২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। দু প্লেসিও ঝুঁকি নেওয়ার রাস্তায় হাঁটেননি। হাফ সেঞ্চুরির কাছে এসে একটু আক্রমণাত্মক হন।
এই টেস্টে খেলার সুযোগ পেয়ে পটেল বলেছিলেন, ‘‘আমাকে বোধহয় আনা হয়েছে কুইন্টন ডি কক-কে আউট করার জন্য।’’ যদি সত্যিই সেটা হয়ে থাকে, তবে বলতে হবে নিউজিল্যান্ড থিঙ্কট্যাঙ্ক হিসেবে ভুল করেনি। দু’ইনিংসেই বাঁ-হাতি কুইন্টন-কে ফিরিয়ে দেন নিউজিল্যান্ডের অফস্পিনার। এখন শুধু একটাই প্রার্থনা চলছে নিউজিল্যান্ডে। বৃষ্টি যেন না হয়।