প্রথম টেস্ট হারের বদলা দ্বিতীয় টেস্টেই নিয়ে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ট্রেন্ট ব্রিজে ইংল্যান্ডকে ৩৪০ রানে হারিয়ে।
শেষ দিনে ৪৭৪ রানের লক্ষ্য সামনে নিয়ে খেলতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার পেস আক্রমণের সামনে ইংল্যান্ড শেষ হয়ে যায় মাত্র ১৩৩ রানে, ৪৫ ওভারের মধ্যে। তিন পেসার মিলে সাতটি উইকেট তুলে নেন। ভার্নন ফিল্যান্ডার তিনটে, ক্রিস মরিস এবং ডুয়ান অলিভার দু’টো করে উইকেট পান। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর প্রাক্তন অধিনায়ক অ্যালিস্টেয়ার কুকের ৪২। বর্তমান অধিনায়ক জো রুট করেন ৮।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট এবং বল দু’টোতেই সফল হয়ে দলকে জেতানোর জন্য ম্যাচের সেরা ফিল্যান্ডার। যিনি পরে বলেন, ‘‘এই টেস্ট শুরুর আগে আমার শরীরটা খুব একটা ভাল ছিল না। কিন্তু ম্যাচ যত এগিয়েছে, তত ছন্দ পেয়েছি।’’ তাঁর নতুন বলের সঙ্গী মর্নি মর্কেলকে নিয়ে ফিল্যান্ডার বলেছেন, ‘‘মর্নি ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা সব সময় কঠিন করে দিয়েছে। সব বোলারই দারুণ বল করেছে। সিনিয়ররা নিজেদের কাজটা ঠিক ঠাক করেছে। সব মিলিয়ে পুরো টিমেরই অবদান রয়েছে এই জয়ে।’’
প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার নেতৃত্ব দেন ডিন এলগার। দ্বিতীয় টেস্টে ফিরে এসে সিরিজ ১-১ করলেন ফাফ ডুপ্লেসি। দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের কথায়, ‘‘এই টেস্ট জয়টা কিন্তু খুব সহজ ছিল না। আমরা প্রাথমিক কাজগুলো ঠিক ঠাক করেছি। এই টেস্টে হাসিম আর হেইনোর জুটি আমাদের ওপর থেকে চাপ অনেকটাই সরিয়ে দেয়।’’ তবে ইংল্যান্ডের এই ভাবে আত্মসমর্পণ মোটেই ভাল ভাবে নিচ্ছেন না সে দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা।