ফেভারিট নয় তো কী
কাগজেকলমে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে। বহু দিন পর ভারত একটা গুরুত্বপূর্ণ ওয়ান ডে ম্যাচে নামবে ফেভারিট না হয়ে। সুবিধে, ব্যর্থতার ভয়টা থাকবে না। আর ভয়ের কী আছে? ম্যাক্সিমাম টস হেরে রান তাড়া করতে হবে। বিশ্বকাপের আগে তো ভারত সেটাই পছন্দ করত।
স্টার্ক ছাড়া কে
জনসন যত চিৎকার করছে তত উইকেট নিচ্ছে না। মার খেয়ে শেষ হচ্ছে। হ্যাজালউড আগের দিন চার উইকেট নিয়েছে। কিন্তু সেটা পরের দিকে। শুরুতে মার খেয়েছে। ফকনার নতুন বলে আসবে না। বাকি সময় অ্যাভারেজ বোলার। একমাত্র স্টার্ক। ও সত্যিই দুর্দান্ত ফর্মে।
কড়া বোলিংয়ে নড়বড়ে
অস্ট্রেলীয় ব্যাটিং গভীর, কিন্তু ভাল বোলিংয়ের সামনে ঝামেলায় পড়েছে। নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছে। পাকিস্তানের বোলিংয়ের সামনে ২১৪ তুলতে গিয়ে কালঘাম ছুটেছে। দুটো ব্যাটিংয়ে তাই খুব তফাত নেই।
পেস নয়, টার্ন
সিডনিতে বরাবরই টার্ন থাকে। ভারত দুই স্পিনার নিয়ে তো নামেই। রায়না সঙ্গে থাকায় ওটা আড়াই। আর এই সিডনিতে কিন্তু তাহির চারটে নিয়েছে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। দুমিনি তিনটে।
স্লেজিংয়ে দে ঘুমাকে
স্লেজিংয়ে লাভ হবে না। মানসিক চাপে ভারতকে ফেলতে পারবে না অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়া স্লেজ করে, কিন্তু পাল্টা নিতে পারে না। কোহলিরা কিন্তু সেটা করবে। এই ভারত স্লেজিং নিতেও জানে, দিতেও জানে। ধোনির আক্রমণাত্মক ক্যাপ্টেন্সিতে আরও সুবিধে। গালাগাল করলেই চাপ তৈরি করা যায় না। ওটা দু’একটা চ্যালেঞ্জিং মুভেও করা যায়। যেটা ধোনি পারে।
সম্ভাবনা
তবু অস্ট্রেলিয়ার দিকে ৫১-৪৯।