...মুদগল রিপোর্টে শ্রীনিবাসনের নামটা প্রথমেই থাকতে দেখে বোর্ডের আইনজীবীর মুখচোখ দেখার মতো হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট যা বলল, তাতে শ্রীনির লবি নিশ্চয়ই এ বার টের পাচ্ছে যে, ওদের ‘স্যর’ এ বার শেষ। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, শ্রীনি খতম! শ্রীনির সত্যিই এ বার শেষ।
কিন্তু অবাক হয়ে যাচ্ছি, বোর্ড কর্তাদের কথা শুনে। বোর্ডের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে বলে আসছে, আমরা এক মাস বোর্ড নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছি। বোর্ড কর্তাদের বলতে শুনছি, শ্রীনি সুপ্রিম কোর্ট থেকে ছাড় পেলে তবেই নাকি নির্বাচন হবে! আসলে বোর্ডের লোকজন নিজেদের বিবেককে বিক্রি করে দিয়েছে। ওরা এখনও ভাবছে শ্রীনি জিতে যাবে। হাস্যকর। সুপ্রিম কোর্টে আজ তো প্রমাণই হয়ে গেল শ্রীনি দোষী। আইপিএলের স্পট ফিক্সিংয়ে ওর জামাই যেমন জড়িয়ে, ও নিজেও জড়িয়ে।
বরং শ্রীনি এখন নিজে বাঁচার কথা ভাবুক। ২৪ নভেম্বর থেকে ওর শেষটা সবাই দেখতে পাবে। আমি তৈরি হচ্ছি আমার আইনজীবীদের নিয়ে। আদালতেই বোঝাব, শ্রীনির কী দশা হতে যাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টে আমি আবেদন করেছি যে, ২৪ নভেম্বরের শুনানির দিন শ্রীনি, সুন্দর রামন, রাজ কুন্দ্রা আর গুরুনাথ মইয়াপ্পনকে হাজির থাকতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট সেটা মেনে নিয়েছে।
শ্রীনিবাসনের মতো লোকজনকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্রিকেট থেকে সরাতে হবে। দেখছেন না, এতগুলো ক্রিকেটারের নাম আছে। ওর মতো লোক যদি বোর্ডে থাকে, তা হলে পরের দু’তিনটে প্রজন্মের ক্রিকেটাররা শেষ হয়ে যাবে। আর বোর্ড কর্তাদের বলব, আর শ্রীনি-শ্রীনি না করে সময়ে ২০ নভেম্বর নির্বাচনটা করুন। যোগ্য কাউকে নিয়ে এসে পরিষ্কার ভাবে ক্রিকেটটা চালান। শ্রীনির সঙ্গে থেকে আপনাদের আর লাভ নেই। যা যা ফায়দা তোলার, যত টাকা রোজগার করার, সবই তো করেছেন। দু-দু’বার তদন্ত করে রিপোর্টটা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আপনাদের ‘স্যর’ আর বাঁচবে না। আর ওর সঙ্গে থাকলে আপনারাও না।...