—ফাইল চিত্র।
ছত্রিশ বছরে ভারতীয় ক্রিকেট অলিন্দে বিচরণ সমাপ্ত। সোমবার বিকেল পার হতেই পঞ্চভূতে বিলীন হলেন জগমোহন ডালমিয়া— ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট।
রবি শাস্ত্রী থেকে শুরু করে নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি উড়ে এলেন এ শহরে— তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে। এমনকী, ক্রিকেট প্রশাসনে ডালমিয়ার সঙ্গে যাঁর অহি-নকুল সম্পর্ক সেই শরদ পওয়ারও শেষ বেলায় হাজির তাঁর প্রিয় বন্ধুকে চিরবিদায় জানাতে। শ্রদ্ধা, স্মরণ, অশ্রুর কোলাজে শেষ হল ভারতীয় ক্রিকেটের এক বর্ণময় অধ্যায়ের।
সোমবার সকাল থেকেই জগমোহন ডালমিয়ার ১০, আলিপুর রোডের বাড়িতে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হয়ে যান রবি শাস্ত্রী। তবে তিনি সিএবি-তে যাননি।
বেলা ১২টায় আনার কথা থাকলেও শেষমেশ আধঘণ্টা দেরিতে জগমোহন ডালমিয়ার মরদেহ আনা হয় সিএবি-তে। যেখানে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে যান ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব অনুরাগ ঠাকুর, প্রাক্তন বোর্ডকর্তা শশাঙ্ক মনোহর, শরদ পওয়ার, রত্নাকর শেঠি, নিরঞ্জন শাহ-সহ ভারতীয় ক্রিকেটের ‘হুজ হু’-রা।
প্রয়াত সিএবি এবং বোর্ড প্রেসিডেন্টকে শ্রদ্ধা জানান রাজনীতি জগতের বিশিষ্টরাও। রাহুল সিংহ, রবিন দেব, সুজন চক্রবর্তী, সোমেন মিত্র থেকে শুরু করে শাসক দলের নেতামন্ত্রীরাও শোকজ্ঞাপন করে যান। বেলা পৌনে ৩টে নাগাদ সিএবি-তে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সরকারের তরফে প্রয়াত জগমোহন ডালমিয়াকে শ্রদ্ধা জানানো হয় তিরিশ়টি গান স্যালুট দিয়ে।
শেষ মুহূর্তে বিকেল ৩টে ১৩ মিনিটে যখন নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন সিএবি-তে পা দিলেন তখন ডালমিয়ার শববাহী গাড়ি রওনা দিয়েছে কেওড়াতলা মহাশ্মশানের দিকে। ফলে শেষযাত্রায় ডালমিয়াকে আর ফুল দিতে পারলেন না শ্রীনি।