তাঁকে ভবিষ্যতের তারকা বলছেন অনেকেই। কোহালি স্বয়ং তাঁকে নিজের চেয়েও প্রতিভাবান বলেছেন। এ হেন শুভমান গিলের আন্তর্জাতিক অভিষেক কিন্তু একেবারেই ভাল হল না। ২৩ বলে মাত্র ৯ রান করলেন তিনি। তবে ডেবিউ ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার রেকর্ড কিন্তু বেশির ভাগ তারকা ভারতীয় ক্রিকেটারেরই আছে। সচিন, বিরাট, সৌরভ... তালিকাটা বেশ লম্বা।
সচিন রমেশ তেন্ডুলকরের ওয়ান ডে অভিষেক হয়েছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৯৮৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর। প্রথম ম্যাচে ওয়াসিম আক্রমের হাতে আউট হন সচিন, ক্যাচ নেন ওয়াকার ইউনিস। শূন্য রানে ‘মাস্টার ব্লাস্টার’ ফিরে গিয়েছিলেন প্যাভিলিয়নে।
রাহুল দ্রাবিড় ডেবিউ ম্যাচে ৩ রানে আউট হন ‘দ্য ওয়াল’। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১৯৯৬ সালের ৩ এপ্রিল এই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে সিঙ্গার কাপের সেই ম্যাচে ১৯৯ রান করলেও জয়ী হযেছিল ভারত। জাভাগাল শ্রীনাথের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ১৮৭ রানেই আউট ইনিংস শেষ হয় শ্রীলঙ্কার।
১৯৯২ সালের ১১ জানুয়ারি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে অভিষেক হয় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রথম ম্যাচে ১৩ বলে ৩ রান করে কামিন্সের হাতে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি।
ভিভিএস লক্ষ্ণণ ১৯৯৮ সালের ৯ এপ্রিল ডেবিউ হয় লক্ষ্ণণের। কটকের মাঠে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে তিন বলে শূন্য রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ভিভিএস। যদিও ৩২ রানে ম্যাচ জেতে ভারত।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে ফিরে যান। ২০০৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর মাহির অভিষেক ঘটে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। খালেদ মাসুদ ও তাপস বৈশ্যর হাতে রান আউট হন ধোনি। ভারত যদিও সেই ম্যাচ জিতেছিল।
বীরেন্দ্র সহবাগ প্রথম ম্যাচে ২ বলে ১ রান করে আউট হন রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস শোয়েব আখতারের বলে। ১ এপ্রিল ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পেপসি কাপে ডেবিউ হয় বীরুর। সেই ম্যাচে হেরে গিয়েছিল ভারত।
ভারতীয় অধিনায়ক রান মেশিন বিরাট কোহালিও কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছিলেন। বিরাট ২২ বলে ১২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছিলেন কুলশেখরের বলে। ২০০৮ সালে ১৮ অগস্ট ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে ডেবিউ হয় বিরাটের। শ্রীলঙ্কা জিতেছিল ওই ম্যাচ।
হিটম্যান রোহিত শর্মাও কিন্তু ব্যাট হাতে প্রথম ম্যাচে সফল হননি। ২০০৭ সালের ২৩ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাট হাতে অভিষেক হয় রোহিতের। রোহিত সে দিন ব্যাট করেছিলেন সাত নম্বরে। আট রানেই ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। সচিন ৯৯, দ্রাবিড় ৭৪ রান করেছিলেন সেই ম্যাচে। তবে ২৪২ রান করেও জিততে পারেনি ভারত।
গৌতম গম্ভীর ২২ বলে ১১ রান করে আউট হন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। টিভিএস কাপে ২০০৩ সালের ১১ এপ্রিল ডেবিউ হয়েছিল গম্ভীরের।
শিখর ধওয়নের ডেবিউ হয় ২০১০ সালের ২০ অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। ২ বলে শূন্য রানে আউট হন ধওয়ন। তবে বিশাখাপত্তনমে বিরাট কোহালির সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।