ড্রেসিংরুমে প্লেয়ারদের সঙ্গে কোচ কনস্ট্যান্টাইনের নাচ। ছবি: টুইটার
ড্রেসিংরুমে স্মারক ট্রফি নিয়ে ভারতীয় দলের ফুটবলারদের তুমুল হইচইয়ের ছবির সঙ্গে যদিও মিলছে না। তবে পুয়ের্তো রিকোকে ৪-১ হারানোর পর ভারতীয় দলের কোচ স্টিভন কনস্টানটাইন যে বলছেন, ‘‘একটা জয়েই তো আমরা এশিয়ার সেরা হয়ে যাইনি। এখনও অনেক কাজ বাকি।’’ এটা একেবারেই সত্যি।
শনিবার ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৩৮ ধাপ উপরে থাকা দলকে বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে হারানোর পর থেকেই ভারতীয় ফুটবল নিয়ে হারানো উৎসাহ যেন ফিরতে শুরু করেছে দেশ জুড়ে। সোশ্যাল মিডিয়া ঘাঁটলেই সেটা স্পষ্ট।
কিন্তু দেশের ফুটবলপ্রেমীদের অলীক স্বপ্ন দেখাতে রাজি নন ভারতীয় দলের ব্রিটিশ কোচ। তিনি বলছেন, ‘‘রাতারাতি সাফল্য আসে না। এই ম্যাচটা জিতলাম মানে ভাববেন না, আমরা বিশ্বকাপের মূলপর্বে উঠে গিয়েছি। কোয়ালিফায়ারে সাতটা ম্যাচ হেরেছি আমরা। তার মধ্যে চারটে ১-২-এ। আমাদের চেয়ে অনেক ভাল ভাল টিমের কাছে হেরেছি আমরা। ১৭৫ নম্বর থেকে উঠে এসেছি এখন।’’
শনিবার জয়ের পর ড্রেসিংরুমে স্মারক ট্রফি নিয়ে তুমুল উল্লাস হয় ভারতীয় শিবিরে। এআইএফএফ-এর টুইটারে পোস্ট করা ভিডিওয় স্টিভনকে ট্রফি হাতে নাচতে নাচতে তা গোলকিপার গুরপ্রীতের হাতে তুলে দিতে দেখাও যায়। নিজের দল নিয়ে যথেষ্ট খুশি স্টিভন। বলেন, ‘‘এই দলে দলে সম্প্রতি ৩০ জন ফুটবলারের অভিষেক হয়েছে। আমার প্লেয়ারদের পুল থেকে প্রথম এগারোয় লেফট ব্যাক, রাইট ব্যাক, স্টপার বেছে নেওয়াটা এখন বেশ কঠিন কাজ। দলের মধ্যে এ রকম একটা প্রতিযোগিতা থাকা তো ভাল ব্যাপার।’’
তবে কোচ যে সবচেয়ে খুশি তাঁর দলের সেরা তারকা সুনীল ছেত্রীকে নিয়ে, তা তাঁর কথাতেই স্পষ্ট। বলেন, ‘‘সুনীল এই দলের রক্ষাকবচ। দশ বছর ধরে ছেলেটা টানা গোল করে যাচ্ছে। আমি তো মজা করে ওকে বলি, ‘তোমার সময় শেষ হয়ে এসেছে’। কিন্তু আসলে সেটা নয়। ও নিজেই বলে, আরও অন্তত ৪-৫ বছর খেলবে।’’ কী ভাবে ভারতীয় দলে আরও চার-পাঁচ বছর ব্যবহার করবেন ছেত্রীকে, তাও নাকি ঠিক করে রেখেছেন স্টিভন। বলেন, ‘‘ওর মতো একটা ফুটবলারের একটা সঠিক জায়গা দরকার। ওর আসল জায়গা স্ট্রাইকারদের পিছনে। ও দলের অন্যদের খেলার মধ্যে টেনে আনতে পারে। গোলের চোখটা আছে ওর। পাস দেখার চোখটাও অসাধারণ। সারাক্ষণ খাটে। এমন নয় যে হেঁটে বেড়ায়। ওর জন্য এই জায়গাটাই ঠিক।’’
ছেত্রীও জয়ের পর টুইট করেন, ‘‘দুর্দান্ত রেজাল্ট। তবে এখনও অনেক কাজ বাকি। ফ্যানদের যে একটা সুন্দর রাত উপহার দিতে পেরে খুশি। বাড়িও ফিরব খুশি খুশি।’’ আর মুম্বইয়ের আন্ধেরি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে গ্যালারি ভরানো দর্শকদের ধন্যবাদ দিয়ে গুরপ্রীত টুইট করেছেন, ‘‘সারা ম্যাচে আমাদের জন্য গলা ফাটানোর জন্য ধন্যবাদ।’’