মেসি পারেননি। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো পারেননি। রাউল পারেননি। মারাদোনা পারেননি। বড় রোনাল্ডো পারেননি। রোনাল্ডিনহো পারেননি। জিদান পারেননি।
বহু ফুটবলনক্ষত্র খেলেছেন লা লিগায়। কিন্তু লুইস সুয়ারেজ হয়ে উঠতে পারেননি কেউ।
শনিবার রাতে বার্সেলোনা ৬-০ হারিয়েছে স্পোর্টিং গিজনকে। স্কোরলাইনটা অস্বাভাবিক কিছু নয় নয়। অভাবিত হল আগের ডেপোর্টিভো ম্যাচের মতোই এঅ ম্যাচেও সুয়ারেজের একারই চার গোল! যা প্রমাণ দিচ্ছে, বার্সেলোনার ত্রাতা এখন আর মেসি-নেইমার নন। বরং গত বিশ্বকাপ থেকে নির্বাসিত হওয়া উরুগুয়ে স্ট্রাইকার, যিনি প্রমাণ করতে মরিয়া কেন তাঁকে এ বছর ব্যালন ডি’অরের চূড়ান্ত তিনে না রাখাটা চরম ভুল হয়েছে ফিফার! লা লিগা ইতিহাসে প্রথম ফুটবলার হল সুয়ারেজ যিনি পরপর দু’ম্যাচে চার গোল করলেন। একাই যেন মুছে দিলেন সাম্প্রতিক এমএসএনের মিলিত গোল খরার যন্ত্রণা।
দুই মাদ্রিদ বনাম বার্সার লা লিগা খেতাব জেতার যুদ্ধ ছাড়াও সোনার বুটের লড়াইও এ মরসুমে কিছু কম যাচ্ছে না। রিয়ালে রোনাল্ডোর চোটের সুযোগ নিয়ে বার্সায় সুয়ারেজ দু’ম্যাচে আট গোল করে এখন হায়েস্ট স্কোরারের দৌড়ে এক নম্বরে। এ পর্যন্ত লা লিগায় তাঁর গোল সংখ্যা ৩৪। শনি-রাতে দুটো পেনাল্টি থেকে গোল করলেন সুয়ারেজ। দুটো ওপেন প্লে থেকে। তবে ইতিহাস গড়েও ‘এল পিস্তলেরো’র চোখ ব্যক্তিগত মাইলফলকের উপর নয়। বরং দলকে ফের লা লিগা দেওয়া। ‘‘সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পারলে ভালই লাগবে কিন্তু আমার লক্ষ সেটা নয়। আমি শুধু দলকে চ্যাম্পিয়নশিপ জিততে সাহায্য করতে পারলেই খুশি হব।’’ দু’ম্যাচে আট গোল করে একটু হলেও অবাক সুয়ারেজ। ‘‘আমি সত্যিই অবাক। পরপর দু’ম্যাচে চার গোল আগে কখনও করিনি যে।’’ এক অসুস্থ বার্সা সমর্থককে নিজের স্বপ্নের পারফরম্যান্স উৎসর্গ করেন সুয়ারেজ।
বার্সা জিতলেও তাদের ধাওয়া করে চলেছে বাকি দুই মাদ্রিদ। রিয়াল ৩-২ জেতে রায়ো ভায়েকানোর বিরুদ্ধে। আটলেটিকো ১-০ হারায় মালাগাকে। যে ম্যাচে মাঠে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে পরের তিন ম্যাচ সাসপেন্ড হওয়ার মুখে আটলেটিকো কোচ দিয়েগো সিমিওনে। তাও লিগের এই চরম চরম গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। মাত্র এক পয়েন্ট ভাগ করছে প্রথম তিন টিমকে! বার্সার সুবিধে দুই মাদ্রিদের মতো তাদের সপ্তাহের মাঝে কোনও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনাল নিয়ে ভাবতে হবে না।