নিজস্ব সংবাদদাতা

সুভাষের কোচিং জীবন প্রশ্নের মুখে

ভুটান থেকে ফিরে ফেড কাপ এবং আই লিগে মোহনবাগান টিডি হিসেবে সুভাষ ভৌমিক বেঞ্চে বসতে পারবেন? সোমবার দিল্লিতে আই লিগ কমিটির বৈঠকের পর ধোঁয়াশা আরও বাড়ল। আই লিগ টিম প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন ফেডারেশন কর্তারা। হাজির ছিলেন এআইএফএফ সচিব কুশল দাস, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত, আই লিগের সিইও সুনন্দ ধর।

Advertisement

কলকাতা

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:৫০
Share:

ভুটান থেকে ফিরে ফেড কাপ এবং আই লিগে মোহনবাগান টিডি হিসেবে সুভাষ ভৌমিক বেঞ্চে বসতে পারবেন? সোমবার দিল্লিতে আই লিগ কমিটির বৈঠকের পর ধোঁয়াশা আরও বাড়ল।

Advertisement

আই লিগ টিম প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন ফেডারেশন কর্তারা। হাজির ছিলেন এআইএফএফ সচিব কুশল দাস, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত, আই লিগের সিইও সুনন্দ ধর। সেখানে ‘এ’ লাইসেন্স না থাকলে ফেড কাপ বা আই লিগে কোচ বা টিডি হওয়া যাবে না বলে পুরনো সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। দিল্লি থেকে ফোনে সুনন্দ বলেন, “এ লাইসেন্স না থাকলে কোচ বা টিডি ম্যাচের দিন বেঞ্চে বসতে পারবেন না। ঢুকতে পারবেন না ড্রেসিংরুমেও। ম্যাচের আগের দিনে তাঁদের প্র্যাকটিসে নিষেধাজ্ঞা থাকছে। ফেডারেশনের পর্যবেক্ষকদের কড়া নজরও থাকবে।”

এই নিয়মের ফলে সুভাষের কোচিং ভবিষ্যৎ বড়সড় প্রশ্নের মুখে। ফেডারেশন সূত্রে খবর, পাঁচ বছর আই লিগের ক্লাবে কোচিং করিয়েছেন, দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন এই দাবি জানিয়ে এএফসির দ্বারস্থ হন সুভাষ। আবেদন করেন, তাঁকে এই যোগ্যতায় মোহনবাগানের কোচিং করাতে দেওয়া হোক। তা মানেনি এএফসি। তারা জানায়, ফেডারেশনের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর, অ্যাকাডেমির প্রধান কোচ এবং ভারতীয় কোচের সামনে পরীক্ষা দিতে হবে সুভাষকে। কিন্তু সবচেয়ে মজার, এই মুহূর্তে ফেডারেশনের এই তিনটি পদই শূন্য। সেখানে নতুন নিয়োগ কবে হবে, এখনও কেউ জানে না। ফলে ফেড কাপ তো বটেই, আই লিগেও সুভাষের কোচিং কেরিয়ার অনিশ্চিত। সুনন্দ বললেন, “জানি না কবে কমিটি হবে। কবে পরীক্ষা হবে। এটুকু জানি ‘এ’ লাইসেন্স না হলে কোচিং করানো যাবে না।”

Advertisement

সুভাষ অবশ্য এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্তব্য করেননি। আপাতত তাঁর চিন্তায় সন্ধে সাতটায় মঙ্গলবার ভুটানের মাঠে হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় ম্যাচ খেলা নিয়ে। টুর্নামেন্টে টিঁকে থাকতে হলে বাকি দুই ম্যাচে জিততেই হবে তাঁকে। মোহন-টিডি কিছু না বললেও বাগান কর্তারা আশাবাদী, সবুজ-মেরুন টিডি কোচিং করানোর জন্য এএফসির বিশেষ অনুমতি পেয়ে যেতেও পারেন। যদিও সচিব অঞ্জন মিত্র বলছেন, “আমরা কোনও আইনবিরুদ্ধ কাজ করব না। ফেডারেশনের নির্দেশাবলী পাই, তার পর এআইএফএফ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলব।” সভায় উপস্থিত বাগান প্রতিনিধি ইমরান খান অবশ্য একটি শব্দও টিডির জন্য খরচ করেননি।

এ দিন ফেডারেশনের সভায় এর বাইরেও আলোচনা হয় আই লিগের ম্যাচ সম্প্রচার-সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে। যেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আই লিগের ১১০ টি ম্যাচের মধ্যে ৭৫ টি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে একটি বেসরকারি চ্যানেলে। এছাড়াও, আই লিগের একাদশ রাউন্ডের পর নতুন কোনও ফুটবলারের নাম নথিভুক্ত করা যাবে না। ২০১৭-র অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে আগামী বছর থেকে শুরু হবে অনূর্ধ্ব-১৫-র সর্বভারতীয় টুর্নামেন্ট। যেখানে আই লিগের টিমগুলোর অনূর্ধ্ব-১৫ দল ছাড়াও খেলবে ছ’টি অ্যাকাডেমি দলও। যার মধ্যে রয়েছে ফেডারেশনের অ্যাকাডেমিও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন