স্বস্তি: শাস্তি উঠে যাওয়ায় ফের মাঠে সুব্রত পাল। ফাইল চিত্র
কলঙ্কমুক্ত হলেন সুব্রত পাল। তাঁকে ডোপ-কলঙ্ক থেকে বুধবার মুক্তি দিল জাতীয় ডোপ বিরোধী সংস্থা নাডা। নাডার পক্ষ থেকে বুধবার লিখিত ভাবে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দেওয়া হল, শুনানিতে দেশের অন্যতম সেরা গোলকিপার প্রমাণ করতে পেরেছেন জাতীয় শিবিরে থাকার সময় টিম-ডাক্তারের নির্দেশে তিনি অনিচ্ছাকৃত ভাবে নিষিদ্ধ ওষুধ খেয়েছিলেন। তাঁর কোনও দোষ নেই।
সোদপুরের মিষ্টুর উপর থেকে সাময়িক সাসপেনশন উঠে গেলেও শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে জাতীয় ফুটবল দলের ডাক্তার শ্রীজিৎ কামালের উপর। তাঁকে শাস্তি দেওয়ার জন্য ফেডারেশনকে নির্দেশ দিয়েছে নাডা। বেঙ্গালুরুর ওই ডাক্তারই সুব্রতকে সর্দিকাশি কমানোর জন্য ওই নিষিদ্ধ ওষুধ দিয়েছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবারই স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনের দলের সঙ্গে সিঙ্গাপুর যাওয়ার কথা কামালের। সেখানে দু’টি ম্যাচ খেলে অনূর্ধ্ব ২৩-এর ভারতীয় দল দোহায় যাবে এএফসি কাপের ম্যাচ খেলতে। নাডার নির্দেশের পর কামালকে আদৌ বিমানে উঠতে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে এ দিন রাত পর্যন্ত। ফেডারেশন সচিব কুশল দাশ ফোন ধরেননি। তবে ফেডারেশন সূত্রের খবর, কামালের বিষয়টি পাঠানো হচ্ছে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাছে। জানা গিয়েছে, কামালকে জাতীয় দলের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছেই। তাঁকে বড় রকমের শাস্তিও দেওয়া হতে পারে। শোনা যাচ্ছে, ২০১৫ সাল থেকে জাতীয় দলের সঙ্গে ডাক্তার হিসাবে থাকা কামালকে খেলার মাঠ থেকেই নির্বাসিত করতে পারে নাডা।
আরও পড়ুন: বার্সাতেই থাকার সিদ্ধান্ত মেসির
সুব্রত-র পাশাপাশি কামালকেও বেশ কয়েক বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন নাডার তদন্তকারীরা। সেখানে কামাল নাকি লিখিত ভাবে স্বীকার করেছেন, সুব্রতকে ওষুধ দেওয়ার সময় তিনি সে-ভাবে সতর্ক ছিলেন না। সে জন্যই ওই ঘটনা ঘটেছে। ‘‘প্যানেলের সামনে বসে ভারতীয় দলের ওই ডাক্তার ওই নিষিদ্ধ ওষুধ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। ওষুধ দেওয়ার সময় তিনি অমনোযোগী ছিলেন এটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। তাই আমরা ফেডারেশনকে বলেছি ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে,’’ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে নাডা।
জাতীয় শিবিরে থাকার সময় নেওয়া সুব্রতর মূত্রের নমুনায় ধরা পড়ে নিষিদ্ধ ওষুধ। সাময়িক সাসপেনশনের সামনেও পড়তে হয় তাঁকে। এ দিন নাডার পক্ষ থেকে জানানো হয়, সুব্রত নির্দোষ। এর ফলে তিনি খেলতে পারবেন আই লিগ বা আইএসএলে।