হতাশ: দশ বছর পরে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লেন তারকা গোলকিপার সুব্রত। —ফাইল চিত্র ।
এক দশক পরে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লেন গোলরক্ষক সুব্রত পাল!
এশিয়ান কাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বে কিরঘিজস্তান ম্যাচের জন্য ২০ মে থেকে কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনের অধীনে মুম্বইয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় দল। ডিএসকে শিবাজিয়ান্স এফসি-র হয়ে ফেডারেশন কাপ খেলে জাতীয় শিবিরে যোগ দেন সুব্রত। কিন্তু দিন তিনেক প্র্যাকটিসের পরেই ভারতীয় ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা গোলরক্ষককে ছেড়ে দেন কনস্ট্যান্টাইন।
ডোপ-বিতর্কে বিধ্বস্ত সুব্রত ফেডারেশন কাপে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন। গ্রুপ লিগে বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি। তা হলে কেন বাদ পড়লেন জাতীয় দল থেকে? সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের দাবি, চোটের কারণে বাদ দেওয়া হয়েছে ‘স্পাইডারম্যানকে’। কিন্তু সূত্রের খবর ডোপিংয়ের অভিযোগ থেকে এখনও যেহেতু মুক্ত নন, তা-ই সুব্রতকে দলে রাখার ঝুঁকি নেওয়া হয়নি।
২০০৭ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হয় সুব্রতর। তার পর থেকে কখনও বাদ পড়েননি তিনি। গুরপ্রীত সিংহ সাঁধু এক নম্বর গোলরক্ষকের মুকুট ছিনিয়ে নিলেও সুব্রতর প্রতি আস্থা হারাননি কনস্ট্যান্টাইন।
আরও পড়ুন: জাতীয় দল থেকে বাদ সুব্রত
একা সুব্রত নন, জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন কেভিন লোবো-ও। ইস্টবেঙ্গল মিডফিল্ডার শিবিরে যোগ দিয়েই জানিয়েছিলেন, তাঁর চোট রয়েছে। কনস্ট্যান্টাইন লোবো-কে বাড়ি ফিরে রি-হ্যাব করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি শিবিরে ছাড়তে রাজি হননি। দু’দিন প্র্যাকটিসের পরেই অবশ্য লোবো-কে বাদ দিয়ে দেন কনস্ট্যান্টাইন।
জাতীয় কোচ হতাশ ইস্টবেঙ্গলের বাকি ফুটবলারদের ফিটনেস দেখেও। নারায়ণ দাস, অর্ণব মণ্ডল, জ্যাকিচন্দ সিংহ, রওলিন বর্জেস, রবিন সিংহ, মহম্মদ রফিক-রা কেউ পুরো ফিট নন। ব্যতিক্রম বিকাশ জাইরু। লাল-হলুদ মিডফিল্ডার চোটের কারণে দীর্ঘ দিন মাঠের বাইরে ছিলেন। সুস্থ হয়ে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন ফেডারেশন কাপে। জাতীয় কোচের উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছেন সুনীল ছেত্রী! চোটের কারণে ফেডারেশন কাপ ফাইনালে তিনি খেলতে পারেননি। সংশয় বাড়ছে কিরঘিজস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর মাঠে নামা নিয়েও।