গোলকিপার সুব্রত পাল। ছবি: আইএসএল।
দেশের সেরা গোলকিপার। যাঁকে দেখে বিশ্ব ফুটবলও চমকে গিয়েছিল। সেই সুব্রত পাল বিভিন্ন সময়ে গিয়েছেন নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে আবারও ফিরেছেন ফুটবলে। এ বারও আইএসএল-এ বাঙালি গোলকিপারদের প্রতিনিধি তিনিই। সঙ্গে রয়েছেন দেবজিৎ মজুমদারও। তবুও তিনিই ভারতীয় ফুটবলে বাংলার মুখ। এ বার খেলছেন জামশেদপুরের হয়ে। জামশেদপুর মানেই অনেক স্মৃতি সুব্রতদের কাছে। এখান থেকেই ফুটবলার হয়ে ওঠার শিক্ষা। সেখানেই ফিরে যাওয়া। সেই অ্যাকাডেমির দলের হয়ে খেলা। সঙ্গে নর্থ-ইস্টের বিরুদ্ধে চতুর্থ আইএসএল-এর প্রথম ম্যাচ খেলার পর নস্টালজিক শোনাল সুব্রতর গলা।
প্র: এই ম্যাচ নিয়ে কী বলবেন?
সুব্রত: আমরা প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচে খেললাম। সেখান থেকে এক পয়েন্ট আসাটা অনেকটাই। সকলেই লড়াই দিয়েছে সমানভাবে।
প্র: গুয়াহাটিতে খেলার অনুভূতিটা কেমন ছিল?
সুব্রত: দারুণ! এটা আমার ভীষণ প্রিয় মাঠ। এখানকার মানুষরা আমার খুব প্রিয়। ওরাও আমাকে ভালবাসে। এখানে খেলতে ভাললাগে। প্রথম ম্যাচে নর্থ-ইস্টের বিরুদ্ধে খেলাটা আমাকে কিছুটা নস্টালজিক করে তুলেছিল। পাশাপাশি আমি এক পয়েন্ট পেয়েও খুশি।
প্র: এ বার আপনার পারফরমেন্সের কথায় আসা যাক, দ্বিতীয়ার্ধের সেভটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল?
সুব্রত: আমি বাড়তি কিছু করিনি। আমার কাজই গোল বাঁচানো। সেই সহজ কাজটাই আমি করেছি। আমরা একটা দল হিসেবে খেলেছি, লড়াই করেছি দল হিসেবে এবং আমরা এক পয়েন্ট পেয়েছি।
প্র: জামশেদপুরের অভিষেক হয়ে গেল ক্লাব হিসেবে, আপনি কী ভাবছেন?
সুব্রত: আমাদের জন্য এটা একটা ঐতিহাসিক ম্যাচ। কারণ জামশেদপুর এফসি আইএসএল-এ প্রথম ম্যাচ খেলল। আমি আশা করব জামশেদপুর এফসি এই বছর ভাল করবে আর ভবিষ্যতেও তা ধরে রাখবে।
প্র: এই ম্যাচ থেকে কী পেলেন?
সুব্রত: আমরা খুব ভাল ডিফেন্স করেছি। সকলেই যার যার ভূমিকা দেখিয়েছে। বিশেষ করে আন্দ্রে বিকে লাল কার্ড দেখার পর আমরা ১০ জনে হয়ে গিয়েও ৯৪ মিনিট পর্যন্ত লড়াই করে এক পয়েন্ট তুলে নিয়েছিলাম।
তথ্য: আইএসএল