বাংলাকে জিতিয়ে নায়ক সুদীপ

ব্যাটিং বিপর্যয় সামলে বাংলাকে জেতালেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। ক্রিজে টিকে থেকে অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংস খেলে বাংলাকে বুধবার দু’উইকেটে জয়ের দিকে নিয়ে গেলেন সদ্য চোট সারিয়ে ফেরা তরুণ ব্যাটসম্যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৭ ০৩:২৯
Share:

ব্যাটিং বিপর্যয় সামলে বাংলাকে জেতালেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

ক্রিজে টিকে থেকে অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংস খেলে বাংলাকে বুধবার দু’উইকেটে জয়ের দিকে নিয়ে গেলেন সদ্য চোট সারিয়ে ফেরা তরুণ ব্যাটসম্যান।

এ দিন রাজস্থানের ২৭৪ রানের ইনিংসের পর পাল্টা ব্যাট করতে নেমে বাংলার প্রথম তিন ব্যাটসম্যান বড় রান করলেও বাকিরা কেউই বড় রান পাননি। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া মনোজ তিওয়ারি এক রান করে ফিরে যান। দুই ওপেনার শ্রীবৎস গোস্বামী ও অভিমন্যু ঈশ্বরন যথাক্রমে ৪৪ বলে ৪৭ ও ৭৭ বলে ৭৯ রান করেন। মনোজ যখন ফিরে যান, তখন বাংলা ১৪৯-৩। এক দিকটা ধরে থাকেন সুদীপ। অন্য দিকে ব্যাটসম্যানরা তাঁকে সঙ্গ দিলেও স্কোরবোর্ডে রান দিতে পারেননি।

Advertisement

প্রথমে অনুষ্টুপ মজুমদার নিজে ১২ রান করলেও সুদীপের সঙ্গে ৫০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। এর পর পঙ্কজ শ, প্রমোদ চান্ডিলারা বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। শেষে কণিষ্ক শেঠ ও অশোক ডিন্ডারা সুদীপকে ম্যাচ বার করতে সাহায্য করেন।

কিন্তু বাংলার এই ব্যাটিং ধসের কারণ কী? বুধবার সন্ধ্যায় সুদীপ চেন্নাই থেকে ফোনে এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘‘উইকেটটা ফাস্ট ছিল। বল ভাল আসছিল। এ রকম উইকেটে ঠিকমতো ধরে না খেললে বা অসাবধান হলে ব্যাটসম্যান আউট হতেই পারে। আমাদের ক্ষেত্রে বোধহয় সেটাই হয়েছে।’’ বাংলার চার ব্যাটসম্যান স্টাম্পের পিছনে কিপার দিশান্ত যাজ্ঞিকের হাতে ধরা পড়েন। একজন স্টাম্পড হন ও একজন বোল্ড। শেষে বল হাতে চার উইকেট পাওয়া কণিষ্ক (১২) ও ডিন্ডাকে (৯) সুদীপই উৎসাহ যোগান। ফোনে বলেন, ‘‘কণিষ্ককে বলি, তুই তো ভালই ব্যাট করিস। তোর ভাল ইনিংসগুলো মনে করে এখানে ব্যাট করে যা। মারতে যাস না। আর ডিন্ডাদা তো অভিজ্ঞ। জানে এই অবস্থায় কী করতে হয়।’’ ইনিংসের শেষ দিকে কণিষ্কের তিনটে ও ডিন্ডার একটা বাউন্ডারিই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে বাংলার জয়ে।

রঞ্জি ট্রফির পর হাতে অস্ত্রোপচার হয়েছিল সুদীপের। ক্লাব ক্রিকেটে ফিরেছেন কয়েক সপ্তাহ আগেই। কিন্তু বাংলার হয়ে বিজয় হাজারে ট্রফিতেই মাঠে ফিরলেন। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচে ১৩০ করার পর এটাই তাঁর বড় ইনিংস। বলেন, ‘‘বাংলাকে জেতাতে পারলে সবসময়ই ভাল লাগে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন