ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়ে গলা ফাটানোর জন্য দেশের সবাইকে অনুরোধ করলেন সুনীল ছেত্রী। চাইলেন জোরালো সমর্থন।
মালয়েশিয়ার জোহর দারুল তাজিম এফসি-র বিরুদ্ধে বুধবার খেলা সুনীলের বেঙ্গালুরুর। জিততে পারলেই ভারতের প্রথম ক্লাব হিসেবে এএফসি কাপ ফাইনালে ওঠার ইতিহাস গড়ে ফেলবে বেঙ্গালুরু এফসি। এহেন ম্যাচের দু’দিন আগে ফেডারেশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারত অধিনায়ক সূনীল বলেছেন, ‘‘বুধবারের ম্যাচটা ঠিক করবে নতুন ইতিহাস তৈরি হবে কি না? ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসে প্রথম বার তৈরি হওয়া এই বিশেষ মুহূর্তে সকলের সাহায্য চাই। সবাই পাশে থাকুন। গোটা ভারত। ভারতীয় ফুটবল।’’
দারুল এফসি-র বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে ১-১ ড্র করেছিল বেঙ্গালুরু। বুধবার ঘরের মাঠে জিতলে তো বটেই, গোলশূন্য ড্র করলেও ফাইনালের টিকিট পাবেন সুনীলরা। ‘‘এটা শুধু বেঙ্গালুরু বা কর্নাটকের সঙ্গে বিদেশি কোনও টিমের ম্যাচ ধরলে ঠিক হবে না। এটা ভারতের ম্যাচ। সে জন্য আমি বা আমার সতীর্থ ফুটবলাররা পুরো দেশকে পাশে চাইছি,’’ বলে দিয়েছেন দেশের জার্সিতে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোল করা ভারতীয় স্ট্রাইকার। ক্লাবের জার্সিতে দেশের সব টুনার্মেন্ট একাধিক বার জেতা হয়ে গিয়েছে সুনীলের। তা সত্ত্বেও কান্তিরাভা স্টেডিয়ামের এই ম্যাচটাকে আলাদা গুরুত্ব দিতে চাইছেন তিনি। ইতিহাস গড়ার জন্য।
‘‘আমাদের দেশের কোনও ক্লাব এই টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলেনি। আমাদের ক্লাবের বয়স মাত্র তিন বছর ক’মাস। এত কম সময়ে একটা ক্লাব যদি ইতিহাসে নাম লেখাতে পারে তবে সেটা একটা বিশেষ ঘটনা হবে। আমি অনেক টুর্নামেন্ট জিতেছি। কিন্তু এএফসি কাপের ফাইনালে উঠতে পারলে সেটা অন্য ব্যাপার হবে।’’ সুনীল মনে করেন, প্রথম পর্বের সেমিফাইনালে একটা অ্যাওয়ে গোল করে রাখাটা ‘অ্যাডভান্টেজ’ হলেও সেটা বিশাল নয়। ‘‘আমরা ওদের মাঠে গিয়ে এক গোল করেছি। কিন্তু এটা বিশাল অ্যাডভান্টেজ নয়। জোহর দারুল প্রথমে গোল করলেও পরে আমরা ফিরে আসি। এটা কেবল ফিরতি ম্যাচের আগে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছে। কারণ সে দিন আমরা গোল খেয়ে তাড়া করে পাল্টা গোল করেছি। এটাই ভাল দিক,’’ বলে দিচ্ছেন সুনীল।