নায়ক: নিজেদের মাঠে মোহনবাগানকে হারালেন সুনীল। ফাইল চিত্র
মোহনবাগান ১ : বেঙ্গালুরু এফসি ২
বেঙ্গালুরুতে অপরাজিত থাকার রেকর্ড ভেঙে গেল সঞ্জয় সেনের। মোহনবাগান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সাতাশ মাস পর বেঙ্গালুরু এফসি-র কাছে তিনি হারলেন সুনীল ছেত্রীর গোলে।
ম্যাচ শেষেও তাই হতাশা যাচ্ছে না চেতলার বঙ্গসন্তান কোচের। ফোনে বেঙ্গালুরু থেকে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘জেজে, সনিরা প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে চার গোলে জিতে ফিরতে পারতাম। কাতসুমির চোটটা ফ্যাক্টর হয়ে গেল।’’ মোহনবাগান কোচের গলায় যখন সনি-জেজেদের গোল করতে না পারার জন্য আক্ষেপ, বেঙ্গালুরু কোচ আলবের্তো রোকা তখন সুনীলকে নিয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসছেন। তাঁর কথায়, ‘‘শুধু গোল করেই নয়, দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের গোটা টিমকে তাতানোর দায়িত্বটা নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিল সুনীল-ই।’’
শনিবার থেকে চাতকের মতো হা পিত্যেশ করে বসেছিলেন বেঙ্গালুরুর ফুটবলপ্রেমীরা। মোহনবাগানের সনি নর্দে বনাম বেঙ্গালুরু এফসি-র সুনীল ছেত্রীর ফুটবল যুদ্ধে দেখতে মুখিয়ে ছিলেন তাঁরা। শনিবার রাতে আই লিগের ম্যাচে সনি বা সুনীল সে ভাবে ম্যাচে দাগ কাটতে পারেননি। ফুটবলপ্রেমীদের নজর কাড়তে ব্যর্থ হয়েছিলেন ভারতীয় ফুটবলের দুই বিখ্যাত ‘এস’-ই।
বাহাত্তর ঘণ্টা পর অবশেষে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ ফুটবলপ্রেমীদের। তাঁর ট্রেডমার্ক ফ্রিকিক থেকে সুনীল শুধু এ দিন গোলই করলেন না, ম্লান করলেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের সনি নর্দেকেও। বুধবারই মুম্বইতে জাতীয় শিবিরে যোগ দেবেন। ০-১ পিছিয়ে থেকে মোহনবাগানকে হারানোর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সুনীলের মন্তব্য, ‘‘গোল করতেই তো মাঠে নামা। ফ্রি-কিকের সময় বলটা বসিয়েই বুঝে গিয়েছিলাম আজ গোল আসতে চলেছে।’’
ম্যাচের সাঁইত্রিশ মিনিটে সনি নর্দেকে বেঙ্গালুরু বক্সে সন্দেশ ফাউল করলে পেনাল্টি থেকে গোল করে যান কাতসুমি ইউসা। দ্বিতীয়ার্ধে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন সুনীলরা। মোহনবাগান মাঝমাঠে এমনিতেই পাসারের অভাব। তার ওপর কাতসুমি চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তেই সবুজ-মেরুন রক্ষণে চেপে বসে বেঙ্গালুরু। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ক্যামেরন ওয়াটসনের কর্নার থেকে বেঙ্গালুরুকে সমতায় ফেরান স্টপার সন্দেশ-ই। এর মিনিট পাঁচেক পরেই মোহনবাগান গোলকিপার শিলটন পাল বক্সের বাইরে হ্যান্ডবল করলে ফ্রিকিক দেন রেফারি। আর সেখান থেকেই সুনীলের গোল।
মোহনবাগান: শিলটন পাল, প্রীতম কোটাল, এদুয়ার্দো ফেরেইরা, আনাস এডাথোডিকা, শুভাশিস বসু (প্রবীর দাস), কাতসুমি ইউসা (সৌভিক চক্রবর্তী), বিক্রমজিৎ সিংহ (সৌরভ দাস) শেহনাজ সিংহ, সনি নর্দে, জেজে লালপেখলুয়া, বলবন্ত সিংহ।