Sunil Gavaskar

গাওস্করের পরামর্শে বাউন্সার ভীতি কেটেছিল ইনজ়ামামের

সফরের মাঝে একটি প্রীতি ম্যাচে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল সুনীল গাওস্করের।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২০ ০৬:০৬
Share:

ঋণী: সানির মন্ত্রেই ইংল্যান্ডে সফল হয়েছিলেন ইনজ়ামাম।

জীবনের প্রথম ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে খাটো লেংথের বল খেলতে তাঁর সমস্যা হয়েছিল। আর সেই সমস্যা থেকে তিনি বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার সুনীল গাওস্করের পরামর্শেই। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এ কথাই জানালেন প্রাক্তন পাকিস্তান অধিনায়ক ইনজ়ামাম-উল-হক।

Advertisement

পাকিস্তানের এই প্রাক্তন ক্রিকেটারের কথায়, ‍‘‍‘অস্ট্রেলিয়ায় ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে দারুণ খেলেছিলাম। তার পরেই ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে সমস্যায় পড়ি। ওটাই ছিল আমার প্রথম বার ইংল্যান্ডে খেলতে যাওয়া। ফলে সেখানকার পিচে কী ভাবে খেলতে হবে সে সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না।’’ যোগ করেছেন, ‍‘‍‘ইংল্যান্ডের বোলারদের খাটো লেংথের বলগুলোর মোকাবিলা করায় সমস্যা হচ্ছিল। তাই ছন্দ হারিয়ে ফেলছিলাম।’’

সেই সমস্যা কী ভাবে কাটালেন তাও জানিয়েছেন ইনজ়ামাম। সফরের মাঝে একটি প্রীতি ম্যাচে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল সুনীল গাওস্করের। ‍‘লিটল মাস্টার’-এর সঙ্গে কথা বলেই তিনি সমস্যা সমাধানের রাস্তা খুঁজে পান।

Advertisement

বর্তমানে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক ইনজ়ামাম যে প্রসঙ্গে বলেছেন, ‍‘‍‘সফরের মাঝপথে একটি প্রীতি ম্যাচ চলাকালীন গাওস্করের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। সেই ম্যাচে তিনিও খেলছিলেন। ওঁর কাছেই সরাসরি গিয়ে বলি, সুনীলভাই, খাটো লেংথের বল খেলতে আমার অসুবিধা হচ্ছে। কী ভাবে এই দুর্বলতা কাটাব?’’

ইনজ়ামাম আরও বলেছেন, ‍‘‍‘সে দিন দুর্দান্ত ও ছোট্ট একটি পরামর্শ দিয়েছিলেন গাওস্কর। বলেছিলেন, ব্যাট করার সময়ে খাটো লেংথের বল কিংবা বাউন্সার নিয়ে চিন্তা মাথা থেকে উড়িয়ে দাও। এতে অযথা তোমার উপরেই চাপ বাড়বে। এতে তুমি বোলারদের ফাঁদে আরও বেশি করে পা দেবে।’’

পাকিস্তানের হয়ে ১২০ টেস্টে ৮,৮৩০ রান ও ৩৭৮টি ওয়ান ডে ম্যাচে ১১,৭৩৯ রান করা ইনজ়ামামের কথায়, ‍‘‍‘খাটো লেংথের বল নিয়ে আগে থেকে অত চিন্তা করার কিছু নেই। পেসার বল করলে তা এমনিতেই বুঝতে পারবে।’’ যোগ করেছেন, ‍‘‍‘ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তির এই পরামর্শ মেনেই এর পরে নেটে অনুশীলন শুরু করি। মন শক্ত করে নিজেকেই তখন বলতাম, খাটো লেংথের বল নিয়ে আগাম চিন্তা করা চলবে না। এতেই আমার খাটো লেংথের বল নিয়ে দুর্বলতা কেটে গিয়েছিল। সেই ১৯৯২ সাল থেকে খেলার শেষ দিন পর্যন্ত খাটো লেংথের বল খেলতে গিয়ে আর কোনও সমস্যা হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন