—ফাইল চিত্র।
এ বারের সুপার কাপ কলকাতায় করার প্রস্তুতি শুরু করেছিল ফেডারেশন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব কিছু আটকে গেল যুবভারতীর নিয়মে।
মাঠের ঘাস বাঁচাতে রাজ্য ক্রীড়া দফতর নিয়ম করেছে যে, দুটি ম্যাচের মধ্যে অন্তত তিন দিনের ফারাক রাখতে হবে। কিন্তু সেটা হলে সুপার কাপ শেষ করতে এক মাসের বেশি সময় লেগে যাবে। তাই তা সরিয়ে নিয়ে ভুবনেশ্বরেই করার কথা ভাবছেন ফেডারেশন কর্তারা। আই লিগের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সুনন্দ ধর (সিইও) দিল্লি থেকে ফোনে বললেন, ‘‘সুপার কাপ আমরা কলকাতায় করতে চাইছিলাম। কিন্তু স্টেডিয়াম নিয়ে রাজ্য সরকারের কিছু নিয়ম আছে। তিন দিন অন্তর খেলা দিলে প্রতিযোগিতা শেষ করতে প্রায় মাস খানেক লাগবে। তাই ভুবনেশ্বর বা অন্য কোনও জায়গায় তা করার কথা ভাবা হচ্ছে।’’
এ বছর সুপার কাপ হলেও ২০১৯-২০ মরসুমে সেটা হবে কি না, তা নিয়ে অবশ্য সন্দিহান সবাই। কারণ পরের মরসুম থেকে ভারতীয় ফুটবলের লিগ কাঠামোর বদল হচ্ছে। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান-সহ কয়েকটি দল আইএসএল খেলবে। গুজরাত ও হায়দরাবাদ থেকে দুটি দলকে আইএসএলে নেওয়া হতে পারে।
এ দিকে অনূর্ধ্ব-১৮ আই লিগের পূর্বাঞ্চলীয় সূচি নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। মোহনবাগান ইতিমধ্যেই মূল পর্বে চলে গিয়েছে। দ্বিতীয় দল হিসাবে লড়াইতে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল, এটিকে এবং ইউনাইটেড স্পোর্টস। গড়াপেটা আটকাতে এটিকে অনুরোধ করেছিল ইস্টবেঙ্গল-ইউনাইটেড ও এটিকে-রেনবো ম্যাচটি একই দিনে দেওয়ার। সেই মতো ঠিক হয় ২৬ ডিসেম্বর দুটি ম্যাচই হবে। কিন্তু হঠাৎই চিঠি দিয়ে ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়া হয়। আই লিগের সিইও বললেন, ‘‘দার্জিলিং গোল্ড কাপ খেলে ফিরতে দেরি হওয়ায় ম্যাচ পিছোতে অনুরোধ করেছিল ওরা। তাই সূচি বদল।’’ এ দিন এটিকে ২-০ গোলে হারায় রেনবোকে। আজ ইস্টবেঙ্গল-ইউনাইটেড ম্যাচ ড্র হলে পরের পর্বে যাবে এটিকে। ইউনাইটেডকে মূল পর্বে যেতে বেশি গোলে জিততে হবে। এটিকের আশঙ্কা, ম্যাচ গড়াপেটা
হতে পারে।