উইম্বলডনে এই প্রথম উত্তর-পূর্বের তানিশা

হলই বা জুনিয়র, তবু উইম্বলডন তো! রাজ্য থেকে এই প্রথম কেউ উইম্বলডনের কোর্টে খেলতে যাচ্ছে। ৮ অগস্ট থেকে শুরু জুনিয়র উইম্বলডন। কিন্তু এখন থেকেই হাজোর কাশ্যপ পরিবারকে ঘিরে আলাপ-আলোচনা। চলছে প্রার্থনাও।

Advertisement

রাজীবাক্ষ রক্ষিত

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৬ ০৩:৫৯
Share:

টেনিসের কোর্টে তানিশা। —নিজস্ব চিত্র।

হলই বা জুনিয়র, তবু উইম্বলডন তো! রাজ্য থেকে এই প্রথম কেউ উইম্বলডনের কোর্টে খেলতে যাচ্ছে।

Advertisement

৮ অগস্ট থেকে শুরু জুনিয়র উইম্বলডন। কিন্তু এখন থেকেই হাজোর কাশ্যপ পরিবারকে ঘিরে আলাপ-আলোচনা। চলছে প্রার্থনাও।

সাড়ে ১৩ বছরের তানিশা কাশ্যপ টেনিসের ‘তীর্থ’ উইম্বলডনে যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছে। মহিলা তো বটেই, অসম ও উত্তর-পূর্ব থেকে এর আগে কেউই এমন অভিজ্ঞতার শরিক হয়নি। কামরূপ জেলার হাজো সাধারণ ভাবে ঐতিহাসিক হয়গ্রীব মাধব মন্দির বা পোয়া মক্কা মসজিদের জন্যই বিখ্যাত। বছরভর ভিড়ও জমে পর্যটকদের। কিন্তু তানিশার কৃতিত্বে হাজো এখন অন্য এক পরিচয় পেয়েছে।

Advertisement

তার কারণ কী?

১৩ বছর বয়সেই ১২টি জুনিয়র খেতাব জয়ী তানিশার সঙ্গেই আমেদাবাদের দেব ভি জাভিয়াও উইম্বলডনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সাগর পাড়ি দিচ্ছে । জাতীয় জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন তানিশার কথায়, “উইম্বলডনে খেলতে পারব ভেবেই গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। এ হল সব টেনিস খেলোয়াড়ের স্বপ্ন। জয়ের জন্য সর্বস্ব উজাড় করে দেব।”

১১ বারের এটিপি ওয়ার্ল্ড ট্যুর চ্যাম্পিয়ন ও চার বারের উইম্বলডন সেমিফাইনালিস্ট টিম হেনম্যান খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দিতে ঘুরে গিয়েছেন দিল্লি ও মুম্বই। তাঁর কাছেও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তানিশা। অবশ্য তানিশার টেনিসে হাতেখড়ি বাবার কাছেই। বাবা সুরেশ কলিতাও বিভিন্ন খেলাধুলোয় উৎসাহী ছিলেন। কিন্তু রোজগারের তাগিদে খেলা হয়ে ওঠেনি। তাই মেয়ের ক্ষেত্রে কোনও কার্পণ্য করেননি তিনি।

নুমালিগড় শোধনাগারের টেনিস প্রশিক্ষণকেন্দ্রে প্রাথমিক পাঠ নেওয়ার পরে তানিশা বিভিন্ন জায়গায়,
বিভিন্ন কোচের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। আপাতত সুরেশবাবু কর্মসূত্রে আরবে রয়েছেন।

হাজোর বাড়িতে তানিশার ঠাকুরদা-ঠাকুমারা জানান, তাঁদের নাতনির জন্য গোটা হাজোবাসী গর্বিত। ঠাকুমা উইম্বলডন তেমন বোঝেন না। তবে বেশ বুঝতে পারছেন বাড়ির ছোট্ট মেয়েটা বড় কিছু একটা করতে যাচ্ছে। তাঁর আশা, উইম্বলডনে ভাল খেলে ফেরার পরে নিজের হাতে কষে পায়রার মাংস রেঁধে নাতনিকে খাওয়াবেন। নাতনি ভালবাসে যে!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন