ঋদ্ধিমান ৩২

জন্মদিনে সহবাগের টুইট, কেক কেটে উৎসব সতীর্থদের

ঋদ্ধিমান সাহার বত্রিশতম জন্মদিনে নেমে পড়লেন কে? না, স্বয়ং বীরেন্দ্র সহবাগ! ঋদ্ধিমানের জন্মদিনে যে টুইটটা করেছেন সহবাগ, তা এক ঠান্ডা পানীয়ের এক সময়কার বিজ্ঞাপনকে মনে পড়িয়ে দেবে। সহবাগ লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন ঋদ্ধিমান। টেস্ট ক্রিকেট মে তো ইয়েহি হ্যায় রাইট চয়েস বেবি, সাহা!’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:৪৩
Share:

ধর্মশালায় মনোজ ও প্রজ্ঞানের সঙ্গে ঋদ্ধিমান। ছবি: টুইটার

ঋদ্ধিমান সাহার বত্রিশতম জন্মদিনে নেমে পড়লেন কে?

Advertisement

না, স্বয়ং বীরেন্দ্র সহবাগ!

ঋদ্ধিমানের জন্মদিনে যে টুইটটা করেছেন সহবাগ, তা এক ঠান্ডা পানীয়ের এক সময়কার বিজ্ঞাপনকে মনে পড়িয়ে দেবে। সহবাগ লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন ঋদ্ধিমান। টেস্ট ক্রিকেট মে তো ইয়েহি হ্যায় রাইট চয়েস বেবি, সাহা!’

Advertisement

সহবাগ ঠিকই লিখেছেন। ভারতীয় দলের হয়ে টেস্টে চলতি মরসুম যা যাচ্ছে ঋদ্ধিমানের, তাতে তিনি যে ‘রাইট চয়েস’ তা নিয়ে কোনও সংশয় থাকতে পারে না। এ দিন মিডিয়ায় ভারতীয় টেস্ট কিপার বলেও দিয়েছেন যে, এই জন্মদিনটা তাঁর কাছে স্পেশ্যাল। কারণ গত ছ’মাসে অনেক ভাল ঘটনা ঘটেছে তাঁর জীবনে। জীবনের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি এ বছর। টেস্টে জীবনের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কারও এ বছর, সেটাও আবার ইডেনে। এক ওয়েবসাইটকে ঋদ্ধি বলে দিয়েছেন, ‘‘অনেক ভাল ঘটনা ঘটেছে এ বছর। ইডেনে আমার পারফরম্যান্সে জিতেছে টিম। তাই এই জন্মদিনটা আমার কাছে স্পেশ্যাল।’’

রেলওয়েজের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচ খেলার জন্য ঋদ্ধিমান আপাতত ধর্মশালায়। বাংলা টিম যেখানে এ দিন ঢুকে পড়ল। বাংলার হয়ে প্রথম দু’টো র়ঞ্জি ঋদ্ধিমান খেলতে পারেননি ভারতের কোচ অনিল কুম্বলে তাঁকে বিশ্রাম নিতে বলেছিলেন বলে। কিন্তু রেলওয়েজের বিরুদ্ধে খেলবেন। শোনা গেল, হোটেলে একটা ছোটখাটো উৎসবও হয়েছে ঋদ্ধিমানের জন্মদিনকে ঘিরে। বাংলা টিমের সতীর্থরাই কেক কেটেছেন। তবে ঋদ্ধিমানের স্ত্রী দেবারতির পক্ষে থাকা সম্ভব হয়নি জন্মদিনে। ফোনে বলছিলেন, ‘‘ভেবেছিলাম যাব। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হল না। আসলে ধর্মশালা যেতে হলে অনেক ব্রেক করে যেতে হয়। কী আর করা যাবে?’’

এবং জন্মদিনের আবহে বাংলা টিমের সাম্প্রতিক সাফল্য নিয়েও কথাবার্তা বলেছেন ঋদ্ধিমান। পঞ্জাবকে নাটকীয় ভাবে হারিয়ে ছ’পয়েন্ট সমেত ধর্মশালা ঢুকেছে বাংলা। ঋদ্ধিমানের ভাল লেগেছে বাংলা অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি এবং কোচ সাইরাজ বাহুতুলের মনোভাব। বলেছেন, ‘‘নতুনরা যাতে খোলা মনে পারফর্ম করতে পারে, সেটা মনোজ-সাইরাজ দেখছে। দেখছে যাতে তিন-চারটে ম্যাচের কুশনটা ওদের দেওয়া যায়। মনে হচ্ছে, প্রথম দু’টো ম্যাচে বাংলার দুর্দান্ত খেলার পিছনে ব্যাপারটা কাজ করেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন