‘ব্যাটিং আর নেতৃত্বে কোহালি এখন স্বপ্ন দেখাচ্ছে ইংল্যান্ড-জয়েরও’

পুরো সফরের মধ্যে একজনের কথা যদি আলাদা ভাবে বলতেই হয়, তা হলে সে নিশ্চিত ভাবে বিরাট কোহালি।

Advertisement

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৬
Share:

নেতা: সতীর্থদের অনুপ্রাণিত করতে জুড়ি নেই বিরাটের। ফাইল চিত্র

যে সফরটা শুরু হয়েছিল কঠিন চ্যালে়ঞ্জের মধ্যে দিয়ে, সেটাই ভারতের জন্য দারুণ ভাবে শেষ হল। মাথা উঁচু করেই দেশে ফিরছে বিরাট কোহালির টিম। যে কেপ টাউন টেস্ট হেরে ভারতীয়দের সিরিজ শুরু হয়েছিল, সেখানেই টি-টোয়েন্টি ম্যাচটা জিতে শেষ করল দল। টেস্ট সিরিজ হারের পরে ওয়ান ডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতাটা কিন্তু দারুণ কৃতিত্বের।

Advertisement

শেষ টি-টোয়েন্টিতে ভারতের ১৭২ রান কিন্তু বড় স্কোর বলা যাবে না। কিন্তু ভারতীয় বোলাররা খুব ভাল বল করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আটকে রাখল। স্কোরবোর্ড হয়তো দেখাচ্ছে মাত্র ৭ রানে জিতেছে ভারত, কিন্তু ঘটনা হল, রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা সব সময়ই পিছিয়ে ছিল। ক্রিশ্চিয়ান ইয়ঙ্কার শেষ দিকে দুর্দান্ত খেললেও ওর পক্ষে কিছু করার ছিল না। আস্কিং রেটটা সব সময় খুব বেশি ছিল। আমি নিশ্চিত, দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যানেজমেন্ট নিশ্চয়ই জে পি ডুমিনি এবং ডেভিড মিলারকে জিজ্ঞেস করেছে, প্রথম ছয় ওভারে ওরা কী করছিল। কেন ৬ ওভারে ২৪ রান উঠল!

পুরো সফরের মধ্যে একজনের কথা যদি আলাদা ভাবে বলতেই হয়, তা হলে সে নিশ্চিত ভাবে বিরাট কোহালি। শুধু ব্যাটিংয়ের জন্যই নয়, দুর্দান্ত নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যও বিরাটের কথা বলতে হবে। বিশেষ করে ওয়ান্ডারার্সে যে ভাবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিল দলকে, সেটা পুরো সফরে প্রভাব ফেলে গেল। এই ধরনের পারফরম্যান্সের পরে টিমের বাকিরাও বিশ্বাস করতে শুরু করে যে তারা অন্য টিমের চেয়ে ভাল এবং শক্তিশালী। কঠিন পিচে বিরাটের ইনিংস শুধু রানের সংখ্যাতেই মাপলে চলবে না। বিরাটের শরীরী ভাষা এবং মানসিকতা বাকি সফরের রংটাই বদলে দেয়। ব্যাটিংকেও সম্পূর্ণ অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে বিরাট। ওকে দেখে এ বার ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া সফরে ভাল কিছু করার ব্যাপারে আশাবাদী হওয়াই যায়। আমার মনে হয়, বিরাটের এই টিম ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে টেস্ট সিরিজ জেতার ক্ষমতা রাখে। যেটা যে কোনও সফররত দেশের কাছে সব চেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ।

Advertisement

এই সফরে দেখলাম ভুবনেশ্বর কুমার এবং যশপ্রীত বুমরা দারুণ উন্নতি করেছে। দ্বিতীয় জন কিন্তু ভারতীয় পেস বোলিংয়ের সম্পদ হয়ে উঠবে ভবিষ্যতে। ভুবিকে নিয়ে বলব, সব রকম ফর্ম্যাটেই ও নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছে। মাঠের মধ্যে ওর মানসিকতা বাকিদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে। সব মিলিয়ে ভুবনেশ্বর একটা কমপ্লিট প্যাকেজ।

আমাকে নিশ্চয়ই এটা বলে দিতে হবে না যে যুজবেন্দ্র চহাল এবং কুলদীপ যাদব ওয়ান ডে ক্রিকেটে কী ভাবে প্রভাব ফেলছে। কুলদীপ টি-টোয়েন্টিতে খেলেনি। আর আমি আশা করব, টি-টোয়েন্টিতে চহালের খারাপ পারফরম্যান্সটা নির্বাচকেরা অন্য ভাবে দেখবেন। এই সব ম্যাচ থেকে চহাল কিছু শিখছে, এটাই যেন ধরে নেন নির্বাচকেরা। চহালকে নিয়ে নির্বাচকদের ধৈর্য ধরতে হবে। ওকে আরও পরিণত হওয়ার সময় দিতে হবে। তা হলে টেস্টেও চহাল একটা বড় শক্তি হয়ে উঠবে। কোনও সন্দেহ নেই, এই দু’জন কিন্তু ইংল্যান্ডেও টেস্ট খেলার ব্যাপারে বড় দাবিদার হয়ে উঠবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন