রাফায়েল নাদাল। —ফাইল চিত্র।
টেনিস বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ের হাত ধরে তৈরি হচ্ছে ভারতের আগামী প্রজন্ম! রাফায়েল নাদালের পোস্ট করা একটি ছবি সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক অবসর নিয়েছেন। কিন্তু নিজে না খেললেও তিনি আগামী প্রজন্ম তৈরি করছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন ভারতের মায়া রাজেশ্বরী রেবতিও।
মাত্র ১৫ বছর বয়স মায়ার। রাফায়েল নাদাল অ্যাকাডেমির ছাত্রী সে। নাদাল তাঁর অ্যাকাডেমির সাত জন তরুণ টেনিস খেলোয়াড়ের সঙ্গে ছবি তুলেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে মায়াকে। অনুশীলনের জার্সি পরে ডান হাতের তর্জনী বাঁ হাত দিয়ে ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। চোখে মুখে বিস্ময় স্পষ্ট। সামনে থেকে নাদালকে দেখলে যা স্বাভাবিক।
এই বছরের শুরুতে মুম্বই ওপেনে নজর কেড়েছিল মায়া। যদিও সেখানে খেলার কথাই ছিল না তার। প্রতিযোগিতা শুরুর দু’দিন আগে ওয়াইল্ড কার্ড পেয়েছিল সে। সেমিফাইনাল অবধি পৌঁছে গিয়েছিল মায়া। ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়া এক জন খেলোয়াড় কোনও প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে উঠলে আলোচনা হওয়া স্বাভাবিক। ২০০৯ সালে জন্ম তার। ১৫ বছর বয়সেই সাড়া ফেলে দিয়েছে। অভিজ্ঞদের হারিয়ে মুম্বই ওপেনের সেমিফাইনালে ওঠা মায়া শেষ পর্যন্ত হেরে যায় ২৭ বছরের জিল টেইচমানের বিরুদ্ধে।
আট বছর বয়স পর্যন্ত টেনিস খেলার কোনও পরিকল্পনাই ছিল না মায়ার। স্কুলে প্রথম বার খেলেছিল। কিন্তু ১০ বছর বয়সেই সিধান্ত নেয় টেনিসই তার জীবনের ধ্যানজ্ঞান হবে। মা-বাবার সাহায্য পেয়েছে সে। টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মায়া বলে, “মা আমার সঙ্গে সব জায়গায় যায়। এটা আমার কাছে একটা আশীর্বাদ। আমার পুরো পরিবার সাহায্য করে। তবে সকলে তো আসতে পারে না। বাবাকে খুব মিস করি।”
নাদালের অ্যাকাডেমিতে শেখার জন্য বিদেশেই থাকতে হয় মায়াকে। টেনিস শেখার জন্য ইউরোপের কোনও দেশে থাকার পরিকল্পনা করছিল তার পরিবার। সেই সময় ডাক আসে নাদালের অ্যাকাডেমি থেকে। মায়া বলে, “নাদালের অ্যাকাডেমি থেকে ডাক পেয়ে খুব অবাক হয়েছিলাম। তবে আমরা খুশি যে, ওরা আমায় নিয়েছে।”
ত্র ১৫ বছর বয়সেই নিজের লক্ষ্য ঠিক করে নিয়েছে আরিয়ানা সাবালেঙ্কার ভক্ত। মায়া বলে, “আমার লক্ষ্য বিশ্বের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড় হওয়া এবং গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা।” সাবালেঙ্কা এখন মেয়েদের সিঙ্গলসে বিশ্বের এক নম্বর।