ছবি: সংগৃহীত।
ফিটনস নিয়ে কোনও আপস নয়, বিরাট কোহালির এই মনোভাবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা শুরু করল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
কী এই ডিএনএ পরীক্ষা?
এই পরীক্ষায় ব্যক্তির জিনগত ফিটনেসের নীল নকশা ফুটে ওঠে। অর্থাৎ, কারও ফিটনেস, শরীর এবং পুষ্টির সঙ্গে জিন কী ভাবে জড়িয়ে রয়েছে সেটা বোঝা যায়। এই ফলাফলের সঙ্গে ওই ব্যক্তির পরিবেশগত তথ্য, মানে তাঁর ওজন, খাদ্যভ্যাস যোগ করলে একটি পরিষ্কার ছবি ফুটে ওঠে। যা ওই ব্যক্তির গতি, মেদ ঝড়ানো, সহনশীলতা, দ্রুত ক্লান্তি ভাব কাটিয়ে ওঠা এবং পেশির জোর বাড়াতে সাহায্য করে।
জানা গিয়েছে, বিসিসিআই এই পরীক্ষা চালু করেছে টিমের ট্রেনার শঙ্কর বাসুর পরামর্শে। এক সিনিয়র বোর্ড কর্তা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ‘‘কিছু দিন হল আমরা ডিএনএ পরীক্ষা শুরু করেছি ভারতীয় দলে। টিম ম্যানেজমেন্ট নতুন যে ফিটনেসের মাপকাঠি ঠিক করেছে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলতেই এই নতুন পরীক্ষা চালু হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষা প্রথম চালু হয় যুক্তরাষ্ট্রে এনবিএ (বাস্কেটবল) এবং এনএফএল-এ।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘এই পরীক্ষা চালু করার পরামর্শ শঙ্কর বাসুর। এবং এই পরীক্ষাটা দারুণ কার্যকর প্রমাণ হয়েছে। প্রত্যেক ক্রিকেটারের জন্য এই পরীক্ষায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে বোর্ডের। যেটা খুব সামান্য খরচ।’’
এর আগে শরীরের মেদ মাপার জন্য ভারতীয় দলে ‘স্কিনফোল্ড’ পরীক্ষা চালু ছিল। পরে চালু হয় ডেক্সা পরীক্ষা। বোর্ড কর্তাটি এ ব্যাপারে বলেন, ‘‘স্কিনফোল্ড পরীক্ষা বেশ কিছুদিন চালু ছিল। কিন্তু শরীরের মেদ মাপার জন্য এই পরীক্ষা একেবারে নিখুঁত নয়। পরে এল ডেক্সা পরীক্ষা। তবে ডিএনএ পরীক্ষায় এটা বোঝা যায়, শরীরকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ মেদের বেশি যাতে না জমে তার জন্য কী কী করতে হবে।’’
সিনিয়র জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের এখন শরীরে মেদ থাকতে পারে ২৩ শতাংশ। বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক দলের ক্ষেত্রেও এটাই সীমা।