কাজটা কঠিন করে দিল বৃষ্টি, মত কোহালির

এই সফরে ভারতীয় বোলিং যে ভাবে ক্রমাগত চাপে রেখে এসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে, শেষ ম্যাচে সেটা দেখা যায়নি। যার জন্য ভারত অধিনায়ক দায়ী করছেন, টানা চলা ঝিরঝিরে বৃষ্টিকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৫৯
Share:

হেনরিক ক্লাসেন এবং জে পি ডুমিনির দাপটে সেঞ্চুরিয়নে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতা হল না ভারতের। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (২৮ বলে ৫২ অপরাজিত) এবং মণীশ পাণ্ডের (৪৮ বলে ৭৯ অপরাজিত) ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভারত স্কোরবোর্ডে ১৮৮ রান তুলে ফেললেও জিততে পারেনি। ফলে ১-১ অবস্থায় এখন সিরিজ ফয়সালার লড়াই শনিবার কেপ টাউনে।

Advertisement

এই সফরে ভারতীয় বোলিং যে ভাবে ক্রমাগত চাপে রেখে এসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে, শেষ ম্যাচে সেটা দেখা যায়নি। যার জন্য ভারত অধিনায়ক দায়ী করছেন, টানা চলা ঝিরঝিরে বৃষ্টিকে। বুধবার হারের পরে কোহালি বলেছেন, ‘‘ম্যাচটা পরের দিকে বোলারদের জন্য কঠিন হয়ে গেল। আমরা একটা সময় ভেবেছিলাম, ১৭৫ মতো রান হবে। সুরেশ রায়না এবং মণীশ পাণ্ডে খেলাটাকে ধরেছিল। তার পর মণীশ এবং এমএস দুরন্ত ব্যাট করে আমাদের প্রায় ১৯০ রানে পৌঁছে দিল। আমরা ভেবেছিলাম, জেতার মতো স্কোর হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ঝিরঝিরে বৃষ্টি সমস্যা করে দিল বোলারদের। ১২ ওভার পর্যন্ত সব ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু তার পর বৃষ্টিতে পিচে বল স্কিড করতে থাকে। বোলাররাও ঠিক মতো বল গ্রিপ করতে পারছিল না। সমস্যা হচ্ছিল।’’

সব চেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন লেগস্পিনার যুজবেন্দ্র চহাল। তাঁর ৪ ওভার থেকে ৬৪ রান নেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানেরা। সিরিজের আগের ম্যাচগুলোয় দেখা গিয়েছিল, দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ের সময় মিডল ওভারে চাপ সৃষ্টি করে চলেছে ‘কুল-চা’ জুটি। অর্থাৎ কুলদীপ যাদব এবং চহাল। শুধু রান আটকানোই নয়, পর পর উইকেটও তুলে নিচ্ছিলেন তাঁরা। টি-টোয়েন্টিতে এসে অবশ্য এই ‘কুল-চা’ জুটি ভেঙে যায়। প্রথম দু’টো ম্যাচে চহাল খেললেও কুলদীপ খেলেননি। গত কাল চহাল ব্যর্থ হওয়ায় দেখা গেল মিডল ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর কোনও চাপই সৃষ্টি হয়নি। বরং চার নম্বরে নামা ক্লাসেন (৩০ বলে ৬৯) এবং ডুমিনি (৪০ বলে ৬৪)-র পাল্টা আক্রমণ ঠেকাতে পারেনি ভারতীয় বোলিং। ছ’উইকেটে ম্যাচ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। পুরোপুরি ফিট না থাকায় খেলতে পারেননি যশপ্রীত বুমরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: মণীশকে মাহি: অ্যাই! খেলায় মন দে

ও রকম ভাবে বৃষ্টির মধ্যে কি তা হলে খেলা চালিয়ে যাওয়া ঠিক হয়েছে? কোহালি বলছেন, ‘‘প্রথম ইনিংসে যখন খেলা বন্ধ হয়নি, তখন আমরা বুঝেছিলাম দ্বিতীয় ইনিংসেও হবে না। ঝিরঝির করে বৃষ্টি পড়ে গিয়েছে সমানে।’’ দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের সম্পর্কে ভারত অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। ক্লাসেন এবং ডুমিনি— দু’জনেই ভাল ব্যাট করে গেল। ইতিবাচক মানসিকতা দেখিয়েছে ওরা। দর্শকরা নিশ্চয়ই পুরো ম্যাচটা উপভোগ করেছেন।’’

দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা সব মিলিয়ে এগারোটা ছয় মেরেছেন তাঁদের ইনিংসে। ক্লাসেনদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং নিয়ে কোহালি বলেছেন, ‘‘ওরা খুব হিসেব করে ঝুঁকি নিয়েছে। স্বল্প দূরত্বের বাউন্ডারি লক্ষ করে হিট করেছে। ওদের কাছ থেকে আমরা এ রকম লড়াই-ই প্রত্যাশা করেছিলাম। একটা ক্রিকেট ম্যাচ জিততে যে মানসিকতার প্রয়োজন সেটা ওদের খেলায় দেখা গিয়েছে। যোগ্য দল হিসেবেই ওরা ম্যাচটা জিতেছে।’’

এই ম্যাচে কোহালি দলের বোলিং নিয়েও কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেননি। পাঁচ বোলারকে দিয়েই তাঁকে বল করাতে হয়েছে। হয়তো বৃষ্টিতে বোলারদের বল গ্রিপ করতে সমস্যা হচ্ছে দেখে অনিয়মিত বোলার সুরেশ রায়নাকে দিয়ে বল করানোর ঝুঁকি নিতে পারেননি ভারত অধিনায়ক। দক্ষিণ আফ্রিকা আবার বলছে, বৃষ্টির কারণে ডাকওয়ার্থ-লুইসের হিসেব মাথায় রেখে তাঁরা ব্যাট করেছে। যেটা তাদের সুবিধে করে দিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন