Virat Kohli

দাদার দল থেকেই সব শুরু, ইডেনে টেস্ট জিতে সৌরভকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন কোহালি

টানা চার টেস্টে ইনিংসে জিতলেন বিরাটরা। যে কৃতিত্ব টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে কোনও অধিনায়কের নেই। অধিনায়ক হিসেবে ৩৮ টেস্ট জিতলেন তিনি। আবার টানা তিন টেস্ট সিরিজে বিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করল বিরাটের দল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৯ ১৫:৫২
Share:

উচ্ছ্বসিত বিরাট কোহালি। রবিবার ইডেনে। ছবি: এএফপি।

ইডেনে গোলাপি বলের টেস্ট জিততে আড়াই দিনও লাগেনি। বাংলাদেশকে রীতিমতো দুরমুশ করে ইনিংস ও ৪৬ রানে এসেছে জয়। আর এই দুর্দাম্ত জয়ের পর অধিনায়ক বিরাট কোহালি বললেন, সৌরভের দলের থেকেই টিম ইন্ডিয়ার আধিপত্য শুরু।

Advertisement

পুরস্কার বিতরণের মঞ্চে বিরাট বললেন, “টেস্ট ক্রিকেট হল মানসিক লড়াই। আমরা শিখেছি কী ভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়াতে হয়। বিপক্ষকে চ্যালেঞ্জটা ফিরিয়ে দিতে হয়। আর এটা দাদার দলই শুরু করেছিল। আমরা শুধু সেটাকে এগিয়ে নিয়ে চলছি।” পাশেই দাঁড়ানো সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে তখন হাসি।

ইডেনে টেস্ট জয়ের সঙ্গে সঙ্গে একগুচ্ছ রেকর্ডও করলেন তিনি। টানা চার টেস্টে ইনিংসে জিতলেন বিরাটরা। যে কৃতিত্ব টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে কোনও অধিনায়কের নেই। অধিনায়ক হিসেবে ৩৮ টেস্ট জিতলেন তিনি। আবার টানা তিন টেস্ট সিরিজে বিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করল বিরাটের দল। একইসঙ্গে টানা সাত টেস্ট সিরিজ জিতল টিম ইন্ডিয়া।

Advertisement

আরও পড়ুন: উমেশের পাঁচ উইকেট, ইডেনে গোলাপি বলের টেস্ট ইনিংস ও ৪৬ রানে জিতল ভারত​

আরও পড়ুন: গোলাপি বলের টেস্ট স্পিনারদের গুরুত্বহীন করে দেবে, আশঙ্কায় প্রসন্ন​

এই দুর্দান্ত সাফল্যের জন্য বোলারদের কৃতিত্ব দিচ্ছেন কোহালি। তিনি বলেছেন, “আমাদের বোলিং ইউনিট এখন ভয়ডরহীন। বিপক্ষে যে ব্যাটসম্যানই থাকুক না কেন, বোলাররা নিজেদের উপরে ভরসা রাখে। গত তিন-চার বছরে আমরা যে পরিশ্রম করেছি, তারই ফল পাচ্ছি এখন।” ইডেনে বিপক্ষের কুড়ি উইকেটই নিয়েছেন পেসাররা। কোহালির কথায়, “বিশ্বাসই কিন্তু জয়ের ভিত গড়ে দেয়। যদি মনে হয় জোরে বোলারদের দিয়ে হবে না, তার মানে নেতিবাচক মানসিকতা গ্রাস করে ফেলেছে। আমাদের পেসাররা কিন্তু যে ভাবে বল করছে, তাতে ঘরের মাঠ বা বাইরে, সর্বত্র ওরা উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা রাখে।”

ইডেনে প্রথমবার গোলাপি বলে টেস্ট নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে যে উৎসাহ, তাতে অভিভূত কোহলি। তিনি বলেছেন, “এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে। প্রথম দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিন দর্শক আরও বেশি ছিল বলে মনে হয়েছে আমার। রবিবার এত মানুষ খেলা দেখতে আসবেন ভাবতে পারিনি। কারণ, দ্রুত ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তার পরও এত ক্রিকেটপ্রেমী স্টেডিয়ামে এসে ভারতের জয়ের সাক্ষী থাকলেন। এটা দুর্দান্ত উদাহরণ হয়ে থাকল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন