ক্রীড়ানীতির বই খুঁজছেন ভাস্কর

নেহরু কাপ, মারডেকা, এশিয়ান গেমস-সহ অন্তত পাঁচটি টুনার্মেন্টে দেশের অধিনায়কত্ব করেছেন। সাত বছর জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেছেন। গোলের নিচে সাবলীল হলেও নির্বাচনের মঞ্চে নতুন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:০৭
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

ফেডারেশনের কোনও কমিটিতে তাঁকে নেওয়া হয়নি কখনও। অব্যবস্থার কারণে দিল্লিতে অনূর্ধ্ব-১৭ যুব বিশ্বকাপের উদ্বোধনী মঞ্চে পুরস্কার-বিভ্রাটের কাঁটা সহ্য করেছিলেন মুখ বুজে। দু’বছর আগে ফেডারেশনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। লাভ হয়নি। দেশের সেই সর্বোচ্চ আদালত-ই তাঁকে ফেডারেশনের গঠনতন্ত্র বদলানো এবং নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ায় চমকে গিয়েছেন ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়।

Advertisement

আনন্দবাজারের কাছে রাতে আদালতের রায় ও তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে, এটা শোনার পর দমদমের বাড়ি থেকে দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা গোলকিপারের মন্তব্য, ‘‘দেশে অসংখ্য ফুটবলার থাকতে আমাকে সর্বোচ্চ আদালত বেছে নিয়েছে এটা আমার কাছে বিরাট সম্মানের। এবং সেটা ফুটবলের ভাল-র জন্যই। জীবনে কখনও এসব করিনি। জানি না কী করতে হবে। হাতে চিঠি পেলে তারপর দেখব কী বলা আছে রায়ে।’’ পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, ‘‘কাল একটা ‘স্পোর্টস কোড’-এর বই জোগাড় করতে হবে। সেটা ভাল করে পড়ে দেখতে হবে। একটা ধারণা নিয়ে দিল্লিতে যেতে চাই।’’

নেহরু কাপ, মারডেকা, এশিয়ান গেমস-সহ অন্তত পাঁচটি টুনার্মেন্টে দেশের অধিনায়কত্ব করেছেন। সাত বছর জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেছেন। গোলের নিচে সাবলীল হলেও নির্বাচনের মঞ্চে নতুন। গঠনতন্ত্র পরিমার্জন কীভাবে করতে হয় সে সম্পর্কে কোনও ধারণাও নেই তাঁর। বলছিলেন, ‘‘আমার সঙ্গে এমন এক জনকে দেওয়া হয়েছে যিনি অভিজ্ঞ। কুরেশি সাহেব তো দেশের নির্বাচন পরিচালনা করেছেন। এই মাঠে উনিই আমার ক্যাপ্টেন। ওঁর সঙ্গে কথা বলব। আশা করি সমস্যা হবে না। তবে সবকিছু স্বচ্ছ ভাবে করতে চাই।’’

Advertisement

ইস্টবেঙ্গল টিমের পরামর্শদাতা কমিটিতে আছেন। ব্যাঙ্কের চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন কয়েক বছর আগে। ফুটবল আর আড্ডা নিয়েই দিন কাটে তাঁর। নতুন দায়িত্ব পেয়ে তাই কিছু করার জন্য মুখিয়ে আছেন। বলছিলেন, ‘‘আমি আর মনা-দা (মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য) আদালতে গিয়েছিলাম ফেডারেশনের বিরুদ্ধে মামলা করতে। দিল্লির হিন্দুস্তান ক্লাবের এক কর্তা ও এক আইনজীবী সাহায্য করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলাম আমরা। কিন্তু সেখানে বলে দেওয়া হয় দিল্লি হাইকোর্টে রায় নিয়ে আসতে। টাকা-পয়সার জন্য সেখানে এগোতে পারিনি। জানি না এখানে কী কাজ। তবে কোনও অন্যায় করতে দেব না। স্পোর্টস কোড মেনে নির্বাচন করতে হবে। তাঁর আগে গঠনতন্ত্র তৈরি করতে হবে। একেবারে নতুন কাজ। কেমন যেন লাগছে।’’ বলে দেন অসংখ্য পেনাল্টি কিক রোখা ডাকাবুকো ফুটবলার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন