লুক পমার্সব্যাচ।
ধরুন বান্ধবীকে নিয়ে ইডেনে গিয়েছেন ভারতের খেলা দেখতে। একেবারে ক্লাব হাউজের নীচে একটা অসাধারণ জায়গায় গুছিয়ে বসেছেন। খেলা শুরু হতেও আর বেশি বাকি নেই। আচমকা মোবাইলে এক অচেনা নম্বরের ফোন। অন্য প্রান্তের গম্ভীর গলা আপনাকে বলল, ওহে, স্টেডিয়াম ছেড়ে এখনই ড্রেসিংরুমে যাও। এইমাত্র তোমাকে জাতীয় দলে নির্বাচিত করা হয়েছে। শুনে কতটা চমকে যাবেন? আপনি কতটা চমকাবেন জতা জানার সুযোগ এখনই না হলেও লুক পমার্সব্যাচ কিন্তু প্রচণ্ড চমকেছিলেন।
ঘটনাটি বেশ কয়েক বছর আগের। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বাঁহাতি অজি ব্যাটসম্যান তখন পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া দলের নিয়মিত সদস্য। এক ম্যাচ সাসপেন্ড হয়ে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে জাতীয় দলের টি২০ ম্যাচ দেখতে তিনি তখন এসেছেন ওয়াকায়। কিন্তু টসের ঠিক আগে জানা যায়, প্র্যাকটিসে চোট পেয়েছেন ব্র্যাড হজ। কোনও অবস্থাতেই তিনি খেলতে পারবেন না। এ দিকে একটিমাত্র টি২০র জন্য মাত্র ১২ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল অস্ট্রেলিয়া। হজ অসুস্থ হওয়ায় পরিবর্ত হিসাবে থাকা স্টুয়ার্ট ক্লার্ককে নামাতে হত অস্ট্রেলিয়াকে। কিন্তু এক ব্যাটসম্যানের বদলে এক বোলারকে দলে নিতে নারাজ ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। এ দিকে তো আর খেলোয়াড়ও নেই। হঠাত্ এক জন এসে নির্বাচকদের খবর দেয়, এক ম্যাচ সাসপেন্ড হওয়া পমার্সব্যাচ স্টেডিয়ামেই রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করা হয় বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে। তড়িঘড়ি ড্রেসিংরুমে পৌঁছে সতীর্থদের ক্রিকেট কিট নিয়েই মাঠে নামতে হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন: বিখ্যাত এই বোলাররা কোন ব্যাটসম্যানদের ভয় পেতেন জানেন?
ঘরের মাঠে অবাক করা অভিষেক অবশ্য খারাপ হয়নি পমার্সব্যাচের। ইনিংসের একেবারে শেষ দিকে ব্যাট করতে নেমে ৭ বলে ১৫ রান করেন তিনি। দল জেতে ৫৪ রানে।
তবে এর পর আর তাঁকে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে দেখা যায়নি। ফর্ম খারাপ থাকায় এবং মানসিক ভাবে অসুস্থ হওয়ায় দ্রুতই ক্রিকেটকে বিদায় জানান তিনি।