অধিনায়ক বিরাট কোহালির সঙ্গে আলোচনায় কোচ অনিল কুম্বলে। ছবি: এএফপি।
মাঝে মাত্র আর একটা দিন। তার পরই আইপিএল-এর রমরমার মধ্যেও শুরু হয়ে যাবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ। তাই আইপিএল নিলাম শেষে আবার জাতীয় দলে ফিরেছে ভারতের প্লেয়াররা। যদিও কোচ অনিল কুম্বলের অগাধ আস্থা তাঁর ছেলেদের উপর। তাই যে কোনও ফর্ম্যাটেই, যে কোনও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেই মানসিকভাবে তৈরি কোচ কুম্বলে। আইপিএল থেকে বেরিয়ে এসে এ বার জাতীয় দলের কাজে নামতে হবে বিরাটদের। ইতিমধ্যেই পুণে পৌঁছে গিয়েছে দল। কুম্বলে বলেন, ‘‘গত ১০ মাস ধরে এরকম একটা দলের কোচিং করাতে পেরে আমি আপ্লুত। এটা দেখে ভাল লাগে এই দল ক্রমশ উন্নতি করছে আর পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে সমস্যার সমাধান করছে। এরকম একটা দল সকলেই চায় যারা স্বনির্ভর। যাদের অন্য কারও উপদেশের প্রয়োজন হয় না। আমি প্লেয়ারদের সেই জায়গা দেওয়ার চেষ্টা করেছি যাতে মাঠের মধ্যের সমস্যা তারা নিজেরা সমাধান করতে পারে।’’
আরও খবর: চাকদহ থেকে কেকেআর, সায়নের চোখে এখন স্বপ্ন
নেটে বল করছেন অশ্বিন।
পুরো দলের পাশাপাশি বিশেষ বিশেষ প্লেয়ারদের নিয়েও মুখ খুলেছেন কুম্বলে। বিশেষ করে অফ-স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনে মুগ্ধ তিনি। সঙ্গে অধিনায়ক বিরাট কোহালি তো আছেনই। অধিনায়ক-কোচের অসাধারণ যুগলবন্দীই ভারতীয় দলের সাফল্যের চাবিকাঠি। কুম্বলে বলেন, ‘‘এই দলের অনেকেই ৪০ থেকে ৪৫টি টেস্ট খেলেছে। বিরাট ৫০টির ওপর টেস্ট খেলেছে। ব্যাক্তিগত সাফল্যের জায়গাটাও অনেক। অনেকেই অনেক কিছু পেয়ে গিয়েছে। অশ্বিনের মত প্লেয়ার যে দ্রুততম ২৫০ উইকেট পেয়ে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ঢুকে পড়েছে। যেটা অসাধারণ।’’ কুম্বলের মতে, এরকম এক একটা পারফরমেন্স দলের মানসিকতার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এরকম দলের সঙ্গে থাকতে পেরে স্বভাবতই খুশি কোচ কুম্বলে। বলেন, ‘‘আমরা এরকম একটা দল করতে চেয়েছি যাদের নিয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়। সকলেই দলে থাকতে চায়। কিন্তু আমারা চ্যাম্পিয়ন দল তৈরি করতে চাই। এটা ১৪তম টেস্ট এই মরসুমের। দলকে ধরে রাখার ফলই আমরা পাচ্ছি। দু’একজনকে বাদ দিলে দলে যে কেউ যে কোনও সময় বাদ যেতে পারে আবার ঢুকতেও পারে। তার ওপর দলে চোট, আঘাতের সমস্যা তো থাকছেই।’’
ভারতীয় দলে এমন কিছু ডোমেস্টিক ক্রিকেটারকে রাখা হয় যাতে ভবিষ্যতের জন্য তাঁদের তৈরি করা যায়। দলে সুযোগ না পেলেও সিনিয়রদের দেখে নিজেদের তৈরি করতে পারে তাঁরা। নেটে বল করতে পারেন বিরাট, যুবরাজদের। সেই দলে রয়েছেন সদ্য আইপিএল নিলামে দল পাওয়া অনিকেত চৌধুরী, বাসিল থাম্পি, নাথু সিংহরা। অতীতে জয়ন্ত যাদবও এই স্কিমেরই অংশ ছিলেন। পরে তিনি জাতীয় দলেও জায়গা করে নিয়েছেন। কুম্বলে বলেন, ‘‘এটা গুরুত্বপূর্ণ নয় যে তাদের দলের অংশ হতেই হবে ভবিষ্যতে। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাদের এই স্কিমে রাখা হয়েছে। দলের সঙ্গে থেকে বুঝতে শিখবে ওরা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে সাফল্যের খিদেটাও বাড়বে।’’