কোহালির সঙ্গে লড়াইটা বেশ উপভোগ্য, বললেন টিম পেন। ছবি: এএফপি।
অ্যাডিলেড ও পার্থের প্রথম দুই টেস্টের পর আপাতত দুই দলই সমান বিন্দুতে দাঁড়িয়ে। বুধবার মেলবোর্নে শুরু হতে চলেছে চলতি বর্ডার-গাওস্কর সিরিজের তৃতীয় টেস্ট। এমসিজি-তে নামার আগে এটা বলা যেতেই পারে, বাইশ গজের লড়াই ছাড়াও এই সিরিজে উত্তাপময় আরও অনেক কিছুই থাকছে। পার্থে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি ও অস্ট্রেলিয়ার নেতা টিম পেনের বাগযুদ্ধ নজর কেড়ে নিয়েছে গোটা ক্রিকেট দুনিয়ার। মাঠের মধ্যে দুই ক্যাপ্টেনের কথা কাটাকাটি নিয়ে আলোচনাও কম হয়নি।
মেলবোর্নের পিচে বল গড়ানোর ৪৮ ঘণ্টা আগে অজি অধিনায়ক স্পষ্টই জানিয়ে দিলেন, বিপক্ষ অধিনায়কের সঙ্গে মাঠের এই লড়াইটা তিনি বেজায় উপভোগ করছেন। এরই পাশাপাশি ভবিষ্যদ্বাণী করার মতো বলে দিলেন, মেলবোর্নেও দু দলের মধ্যে আরও একটা হাডহাড্ডি লড়াই অপেক্ষা করে রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদপত্রে পেন বলেছেন, “বিরাটের সঙ্গে পার্থের লড়াইটা আমি জমিয়ে উপভোগ করেছি। আরেকটা কথাও এখানে উল্লেখ করতে চাই, যখন গত কয়েক বছরে যখন আমি নিজে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার সুযোগ পাই নি তখনও বিরাটের খেলা দেখতে আমার বেশ ভালো লাগত। এখন ওর সঙ্গে মাঠের মধ্যে লড়ার সুযোগ পাচ্ছি। তা’ও আবার টেস্ট ক্রিকেটের মঞ্চে। সত্যিই ব্যাপারটা আমার কাছে দারুণ উপভোগ্য।’’
আরও পড়ুন: বক্সিং ডে টেস্টের আগে যে ছয় প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন শাস্ত্রী-কোহালি
আরও পড়ুন: রাহানে দারুণ অধিনায়ক হতে পারে, বিরাটকে খোঁচা দিয়ে টুইট জনসনের
পার্থে চতুর্থ দিন অস্ট্রেলিয়া যখন ব্যাট করছিল, সেসময় একটি খুচরো রান নেওয়ার সময় বিরাট কোহালির সঙ্গে পেনের সরাসরি ধাক্কা লাগে। অজি অধিনায়ক বলে দিলেন, সেই ঘটনা নিয়ে আদৌ ভাবিত নন। এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে পেন বলেছেন, “বিরাট এমনই লড়াকু যে কিনা সবসময় নিজের কলজেটাকে জামার হাতায় নিয়ে ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসে! আর অন্য যে কোনও পেশাদার ক্রীড়াবিদের মতোই বিরাটও হারটাকে ঘৃনা করে।’’
এত কিছু বলার পর অস্ট্রেলীয় ক্যাপ্টেন অকপটেই যোগ করেছেন, বিরাট কোহালিকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে বেশ পছন্দই করেন। কারণ ব্যখ্যা করতে গিয়ে পেন বললেন,”বিরাট যে ভঙ্গিতে মাঠে ক্রিকেটটা খেলে সেটা আমার খুব পছন্দের। ব্যক্তিগতভাবে ওকে সেভাবে হয়ত চিনি না কিন্তু, ওর প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে। ব্যাটসম্যান হিসেবে ওর দক্ষতাই একমাত্র কারণ নয়। বিরাট আসলে খেলাটার প্রতি ভীষনই নিবেদিত প্রান। ক্রিকেটের প্রতি ওর নেশাটাও মারাত্মক। দর্শকদের কাছেও তাই বিরাট এত প্রিয়। শুধু ওর খেলা দেখতেই ক্রিকেট ভক্তরা মাঠে ভিড় করেন।”