তিন বিদেশি সই করানোর পর থমকে রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার নির্বাচন। আরও তিন বিদেশির সঙ্গে কথাবার্তা অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েও অর্থের অভাবে চূড়ান্ত হয়নি কিছুই।
সুভাষ ভৌমিককে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর করার পর বাকি কোচিং দলের সদস্য হিসাবে কাদের নেওয়া হবে তাও আটকে রয়েছে।
ব্রাজিলিয়ান ফিজিও গার্সিয়াকে ৪০ লাখ টাকা দিয়ে রাখা হবে কী না সেই সিদ্ধান্তও ঝুলে।
সামনের মরসুমে দল গঠন নিয়ে এ রকম নানা জট কাটাতে আজ মঙ্গলবার স্পনসরদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ইস্টবেঙ্গলের। ক্লাবের ফুটবল পরিচালন বোর্ডের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন স্পনসরদের প্রতিনিধিরা।
সেখানে কার্যত ঠিক হয়ে যাবে বর্তমান স্পনসররা ভবিষ্যতে থাকবেন কী না? থাকলেও কতটা সাহায্য করবেন লাল হলুদকে?
সভায় মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে হবে বলে জানা গিয়েছে।
এক) শেষ হয়ে যাওয়া মরসুমের বকেয়া টাকা কবে পাওয়া যাবে?
দুই) বর্তমান মরসুমের দল পরিচালনার (সিনিয়র ও বয়সভিত্তিক) জন্য যে বাজেট জমা দেওয়া হয়েছে, স্পনসররা তা মঞ্জুর করবেন কী না?
তিন) পরের মরসুমে ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেললে ফুটবল দলের জন্য কত টাকা দিতেপারবেন স্পনসররা?
জানা গিয়েছে, সিনিয়র ও বয়স ভিত্তিক সবকটি দল মিলিয়ে প্রায় এগারো কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে পরের মরসুমের জন্য। তার মধ্যে কত টাকা স্পনসররা দেবেন তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন লাল হলুদ কর্তারা। ইস্টবেঙ্গলের কোনও ফুটবলাররেই গত মরসুমের মাইনে বাকি নেই। নানা ভাবে টাকা জোগাড় করে তা মিটিয়ে দিয়েছেন কর্তারা। কারণ এ এফ সি ছাড়পত্রের পরীক্ষা নিতে ফেডারেশন কর্তারা আসার আগেই তা মেটানো ছিল জরুরি। ইতিমধ্যেই ক্লাবের সব কাগজপত্র ও পরিকাঠামো দেখে গিয়েছেন ফেডারেশন নিযুক্ত কর্তারা।
এ দিকে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ চার ফুটবলারের চুক্তি নিয়ে ফেডারেশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন মিনার্ভা প্রধান রঞ্জিত বাজাজ। দিল্লির ফুটবল হাউসের খবর, ইস্টবেঙ্গলের কাছে সেই চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দশ দিনের মধ্যে এর উত্তর দিতে বলা হয়েছে।