ছবি: এএফপি।
আয়াখ্স ২
টটেনহ্যাম ৩
(অ্যাওয়ে গোলে জয়ী টটেনহ্যাম)
মাত্র চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে আরও একটা রূপকথার প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী থাকলেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। অ্যাওয়ে গোলের হিসেবে আয়াখ্স আমস্টারডামকে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল টটেনহ্যাম হটস্পার।
প্রথম পর্বে টটেনহ্যামকে ১-০ হারিয়েছিল আয়াখ্স। বুধবার রাতে ঘরের মাঠে ম্যাচের পাঁচ মিনিটের মধ্যেই গোল করে তাদের এগিয়ে দেন দে লিখ্ত। ৩৫ মিনিটে আয়াখ্সের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন হাকিম। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে নাটকীয় ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় টটেনহ্যাম। ৫৫ মিনিটে গোল করে ব্যবধান কমান লুকাস মৌরা। চার মিনিট পরে তিনি-ই সমতা ফেরান। সংযুক্ত সময়ে হ্যাটট্রিক করে টটেনহ্যামের ফাইনাল খেলা নিশ্চিত করেন লুকাস। ফাইনালে টটেনহ্যামের প্রতিপক্ষ লিভারপুল।
মেসি-ময় বিশ্বফুটবলে সর্বকালের অন্যতম সেরা প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে অভিনন্দনের বন্যায় ভাসছে লিভারপুল। একইসঙ্গে সমালোচকদের ঝড়ের মুখে বার্সেলোনা। লিভারপুলের অন্ধভক্ত টেনিস তারকা ক্যারোলিন ওজ়নিয়াকি থেকে প্রাক্তন তারকা ফুটবলার রে হাডসন— সাদিয়ো মানেদের নিয়ে উচ্ছ্বাস সর্বস্তরে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট উপচে পড়ছে প্রতিক্রিয়ায়।
এ দিকে, প্রবল কটাক্ষের মুখে লিভারপুলের প্রাক্তন মহাতারকা মাইকেল আওয়েন। দোষের মধ্যে তিনি ম্যাচের আগে বলেছিলেন, ম্যাচটা মেসিরা জিতবে। লিভারপুল জেতার পরে টুইটারে অসংখ্য মানুষ লিখলেন, ‘‘লোকটা আসলে জোকার। বিশ্বফুটবলে এত খারাপ পণ্ডিত
দেখা যায়নি।’’
অ্যানফিল্ডে ম্যাচের আগে লুইস সুয়ারেস বলেছিলেন, লিভারপুল তাঁর পুরনো ক্লাব। ওদের বিরুদ্ধে গোল করলে তাই তিনি উৎসব করবেন না। এটা নিয়েও মজা করতে ছাড়লেন না লিভারপুলের ভক্তেরা। একজন যেমন লিখলেন, ‘‘সুয়ারেস বলেছিল গোলের উৎসব করবে না...ঠিকই তো বলেছিল।’’