ওহ মারিয়া! গ্যালারি থেকে আবেদন, আমাকে বিয়ে করবে?

থমকে দাঁড়িয়ে মাশা বললেন, ভেবে দেখছি!

সার্ভ করতে গিয়ে থমকে গেলেন শারাপোভা। মুখ ঘুরিয়ে তাকালেন দর্শকদের দিকে। কয়েক সেকেন্ড কী যেন ভাবলেন। তার পর বলে উঠলেন, ‘‘ভেবে দেখছি!’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:২০
Share:

আকর্ষণ: ইস্তানবুলে ট্রফির সঙ্গে মনও জিতলেন শারাপোভা। খেলার মধ্যেই গ্যালারি থেকে বিয়ের প্রস্তাব। ফাইল চিত্র

বলটা শূন্যে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন সার্ভ করবেন বলে। তখনই দর্শকদের মধ্যে থেকে ভেসে এল কথাগুলো— মারিয়া, তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?

Advertisement

রবিবার রাতের ইস্তানবুল। একটি প্রদর্শনী ম্যাচের ঘটনা। এক দিকে তুরস্কের স্থানীয় মেয়ে। অন্য দিকে তিনি। টেনিসের গ্ল্যামার রানি মারিয়া শারাপোভা।

সার্ভ করতে গিয়ে থমকে গেলেন শারাপোভা। মুখ ঘুরিয়ে তাকালেন দর্শকদের দিকে। কয়েক সেকেন্ড কী যেন ভাবলেন। তার পর বলে উঠলেন, ‘‘ভেবে দেখছি!’’ শারাপোভার কথা শুনে হেসে উঠল গোটা স্টেডিয়াম।

Advertisement

টেনিস জগতে এ ভাবে খেলতে খেলতে বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন, এমন মহাতারকার সংখ্যা কিন্তু কম নয়। কোথাও মহিলা সুপারস্টারকে পুরুষ ভক্তের প্রস্তাব। কোথাও পুরুষ টেনিস খেলোয়াড়কে মহিলা ভক্তের প্রস্তাব। আবার কোথাও পুরুষ খেলোয়াড়কে পুরুষ ভক্তের প্রস্তাব!

আরও পড়ুন: জন্মদিনে রায়নাকে দারুণ উপহার সচিনের, শুভেচ্ছা টুইটারেও

নয়ের দশকের মাঝামাঝি পুরুষ হৃদয়ে কম্পন তুলে যে টেনিস সুন্দরী কোর্টে নামতেন, তাঁর নাম বলতে পারার জন্য কোনও পুরস্কার নেই। একমেবদ্বিতীয়ম স্টেফি গ্রাফ। যাঁকে নিয়ে গত বছর উইম্বলডন কর্তৃপক্ষ তাদের ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিল। স্টেফি গ্রাফকে বিবাহের প্রস্তাব দেওয়ার ভিডিও। ১৯৯৫ সালের ঘটনা। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সার্ভ করতে যাওয়ার মুখে স্টেফির উদ্দেশে ভেসে আসছে তাঁর প্রেমিক ভক্তের আকুল সেই আবেদন, ‘‘স্টেফি, আমাকে বিয়ে করবে?’’

এ যুগের শারাপোভার মতোই সে যুগের স্টেফিও একটু থমকে যান। বলটা বেশ কয়েক বার ড্রপ খাওয়াতে থাকেন। মুখে চাপা হাসি। তার পরে গ্যালারির দিকে তাকিয়ে প্রশ্নটা ছুড়ে দেন, ‘‘তোমার কাছে কত টাকা আছে?’’ স্টেফির জবাব শোনার পরে স্বাভাবিক ভাবেই গাম্ভীর্যের উইম্বলডনেও হাসির রোল উঠেছিল।

টেনিস কোর্টে যে শুধু ভক্তরাই বিয়ের প্রস্তাব দেন, তা নয়। প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যেও একই দৃশ্য অভিনীত হতে দেখা গিয়েছে কখনও কখনও। কোথাও সে নাটকের কুশীলব ছিলেন খেলোয়াড়, কোথাও দর্শকযুগল।

এ রকমই এক নাটকের নায়িকার নাম মিশায়েলা ক্রাইচেক। উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন রিচার্ড ক্রাইচেকের বোন। বছর তিনেক আগের ঘটনা। ডব্লিউটিএ-র একটি ম্যাচে জেতার পরে মিশায়েলার সামনে হাঁটু মুড়ে বসে পড়েন মার্টিন এমরিখ। বছর দু’য়েক ধরে এই জার্মান ডাবলস প্লেয়ারের সঙ্গে প্রেম করছিলেন মিশায়েলা। কিন্তু তিনি ভাবেননি মার্টিন এ ভাবে বিয়ের প্রস্তাব দেবেন! স্বাভাবিক ভাবেই লাজুক মুখে ‘হ্যাঁ’ বলে দিয়েছিলেন ডাচ তরুণী। রাফায়েল নাদালেরও অভিজ্ঞতা হয়েছিল এ ভাবে তরুণ-তরুণীর বিয়ের নাটকে জড়িয়ে যাওয়ার। কিন্তু তাঁরা ছিলেন দর্শক। নাদালের খেলার মাঝে গ্যালারিতে প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন প্রেমিক। যা নিয়ে নাদাল একটু বিরক্ত হলেও পরে ওই দু’জনের সঙ্গে ছবিও তোলেন।

কিন্তু নাদাল এবং তাঁর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রজার ফেডেরার একবার কোর্টে যে রকম বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন, তার তুলনা পাওয়া কঠিন। নাদাল এবং ফেডেরার— দু’জনই প্রস্তাব পেয়েছিলেন তাঁদের পুরুষ ভক্তদের কাছ থেকে!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন