ছবি: সংগৃহীত।
নব্বইয়ের দশকে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে দু’বার চ্যাম্পিয়ন ঘানা। কিন্তু গত দশ বছর মূলপর্বেই উঠতেই পারেনি।
চিলে-তে দু’বছর আগে ফাইনালে উঠলেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়নি মালি-র। আজ, শনিবার গুয়াহাটিতে দু’দলের কাছেই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই।
মালি-র বিরুদ্ধ ম্যাচের আগে ঘানার কোচ ফাবিয়ান স্যামুয়েল অবশ্য রীতিমতো চিন্তিত। তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের অধিকাংশ ফুটবলারই উঠে এসেছে দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের জৌলুস ওদের মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছে। এই পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য ওদের একটু সময় দরকার।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘ওদের কাছে সেরা সুযোগ নিজেদের প্রমাণ করে সিনিয়র দলের জন্য জায়গা করে নেওয়া।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘এই মুহূর্তে ফুটবলারদের লক্ষ্য হওয়া উচিত, নিজেদের খেলার উন্নতি করা। দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।’’ স্বস্তিতে নেই মালি কোচ কোকোউ কোমলা-ও। তিনি বলেছেন, ‘‘অনূর্ধ্ব-১৭ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আমরা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে গিয়েছিলাম। আমাদের অনেক ফুটবলারই আর দেশে ফিরে আসেনি। ইউরোপেই থেকে গিয়েছে পাকাপাকি ভাবে। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। নিজেদের দেশের প্রতি ওদের কোনও দায়বদ্ধতা নেই। এই প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও কিন্তু আমরা কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের মূলপর্বে যোগ্যতা অর্জন করেছি।’’ আফ্রিকার দুই দেশের দুই কোচই স্বীকার করেছেন, কোয়ার্টার ফাইনালের আগে চাপে রয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, ‘‘দলের প্রত্যেকেই চাপে রয়েছে।’’