বিদেশে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্সে উন্নতি ঘটাতে এক বৈপ্লবিক রঞ্জি ট্রফি মডেলের প্রস্তাব দিলেন সচিন তেন্ডুলকর। পৃথিবীর সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বলে দিলেন, রঞ্জি ট্রফি ম্যাচ একটা নয়, খেলানো হোক একই সঙ্গে দু’টো পিচে, দু’রকম বলে! একটা হবে গ্রিন টপ। যেখানে প্রথম ইনিংসটা হবে। কুকাবুরা বলে। দ্বিতীয়টা হবে র্যাঙ্ক টার্নার। যেখানে হবে দ্বিতীয় ইনিংস। এবং টার্নারে খেলাটা হবে এসজি টেস্ট বলে।
‘‘নিরপেক্ষ কেন্দ্রে রঞ্জি ট্রফি ম্যাচ নিয়ে অনেক ভেবেছি আমি। একটা বৈপ্লবিক পরামর্শ আছে আমার। আমরা যখন অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাই, কুকাবুরা বলে খেলা হয়। যা প্রথম থেকেই ভাল রকম সুইং করে। এ বার ভেবে দেখুন, যে তরুণ ভারতে এসজি টেস্ট বলে খেলছে, তার পক্ষে বিদেশে গিয়ে ওই সুইং সামলানো কী ভাবে সম্ভব,’’ নয়াদিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে বলে দিয়েছেন সচিন। সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘একটা ব্যাপার করা যায়। রঞ্জি ট্রফিতে প্রথম ইনিংসটা হোক সবুজ উইকেটে। কুকাবুরা বলে। যা ওপেনারদের চ্যালেঞ্জে ফেলে দেবে। বোলারদেরও এতে লাভ। স্পিনাররা শিখতে পারবে সবুজ উইকেটে কী ভাবে বল করতে হবে।’’ এবং সচিনের বক্তব্যের দ্বিতীয় ভাগটা আরও আকর্ষণীয়। ‘‘এ বার ওই সবুজ উইকেটের পাশেই একটা ঘূর্ণি উইকেট রাখা হোক। দ্বিতীয় ইনিংসটা হোক ওখানে, এসজি টেস্ট বলে। ভাল স্পিন বোলিং খেলাটাও তা হলে শিখতে পারবে ব্যাটসম্যানরা।’’ প্রস্তাব বৈপ্লবিক, কিন্তু তার প্রয়োগ কতটা সম্ভব? বোর্ডের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে সচিনের প্রস্তাব প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কিছু বলতে চাইলেন না। ঘরোয়া ক্রিকেটের কেউ কেউ একই পথে হাঁটলেন। মুম্বইয়ের কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত যেমন। পুরো ঘটনা শুনে ফোনে বললেন, ‘‘ব্যাপারটা পুরো না জেনে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’’ তবে নির্যাস যেটা উঠে আসছে, তা হল, প্রস্তাবটা আকর্ষণীয় হলেও তা কাজে লাগানো যথেষ্ট কঠিন।