পুরস্কার হাতে অংশু ও সিন্থিয়া। নিজস্ব চিত্র।
জাতীয় সাব-জুনিয়ার সাঁতার প্রতিযোগিতায় বাংলার প্রতিনিধিত্ব করে পদক জয় করল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক শহরের দুই স্কুল পড়ুয়া।
কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু শহরে আয়োজিত হয়েছিল ৩৩ তম সাব-জুনিয়র ন্যাশনাল অ্যাকোয়াটিক চ্যাম্পিয়নশিপ। সেখানেই পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র অংশু কর ৫০০ মিটার মিডলে রিলে বিভাগে রুপো আর ৫০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোক বিভাগে ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে। ওই একই প্রতিযোগিতায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সিন্থিয়া চৌধুরী ৫০ মিটার বাটার ফ্লাই বিভাগে ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে।
তমলুক শহরের আবাসবাড়ি এলাকার বাসিন্দা অংশু তমলুক হ্যামিল্টন হাইস্কুলের ছাত্র। ছয় বছর থেকে তমলুক সুইমিং ক্লাবে সাঁতার শেখা শুরু তার। অন্যদিকে তমলুক শহরে রামসাগরপুকুর এলাকার বাসিন্দা সিন্থিয়া চৌধুরী তমলুকের রাজকুমারী সান্ত্বনাময়ী বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। ৬ বছর বয়স থেকে ওই সুইমিং ক্লাবেই তারও প্রশিক্ষণ শুরু। ২০১৪ সাল থেকে নেবুতলা কাবাডি ক্লাবের সুইমিং ক্লাবে সাঁতার শেখে সে। দুই খুদেই জুন মাসে হুগলির রিষড়ায় অনুষ্ঠিত রাজ্য সাঁতার প্রতিযোগিতায় একাধিক বিভাগে প্রথম স্থান দখল করে। এরপর বেঙ্গালুরুতে জাতীয় স্তরের সাব-জুনিয়ার সাঁতার প্রতিযোগিতায় বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পায়।
আর বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাব-জুনিয়ার সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশু বালকদের ৫০০ মিটার মিডলে রিলে বিভাগে দ্বিতীয় স্থান পেয়ে রৌপ্য পদক জয় করে। এছাড়াও ৫০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোক বিভাগে তৃতীয় হয়ে ব্রোঞ্জ পদক জয় পেয়েছে অংশু। ওই একই প্রতিযোগিতায় বালিকাদের ৫০ মিটার বাটার ফ্লাই বিভাগে তৃতীয় স্থান পেয়ে ব্রোঞ্জ পদক জয় করেছে সিন্থিয়া।
অংশুর মা নমিতাদেবী দর্জির কাজ করে কোনওরকমে সংসার চালান। তাঁর কথায়, ‘‘অংশু খুব ছোটবেলা থেকেই সাঁতার শিখতে চাইত। ওকে সাঁতার শেখার বিভিন্ন সামগ্রী কিনে দিতেও পারি না। ’’ সিন্থিয়ার বাবা উদয়ন চৌধুরী পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। একমাত্র মেয়ে সিন্থিয়ার পড়াশোনার সাথে সাঁতার শেখার জন্য তাঁকে ও অংশুকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহে তিনদিন কলকাতায় ছোটেন উদয়নবাবু। উদয়নবাবু বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে যাতে আরও ভাল ফল করতে পারবে বলে আশা করছি।’’