ইরফান পঠান। ছবি: সংগৃহীত।
দেশের হয়ে এখন আর খেলেন না তিনি। যে কারণে ইউসুফ পঠানকে দেশের বাইরের লিগে খেলার অনুমতি দিয়েও তুলে নিল বিসিসিআই। হংকং টি২০ ব্লিজে খেলার কথা ছিল পঠানের।সবুজ সঙ্কেত দিয়েও দিয়েছিল বিসিসিআই। কিন্তু একজনকে অনুমতি দিলে বাকিদেরও দিতে হবে। এমন অবস্থায় অনুমতি দিয়েও তুলে নিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এই লিগের দল কোলুন ক্যান্টন্সের হয়ে চুক্তিবদ্ধও হয়ে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বিসিআই-এর এই বদলে সমস্যা পঠান। যদিও বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে নাম না করে এক কর্তা জানান, ‘‘ভারতীয় প্লেয়ারদের একটা ব্র্যান্ড আছে। ভারতীয় প্লেয়াররা যে লিগে খেলবে সেটা সমর্থকদের আকর্ষণ করবে এটাই স্বাভাবিক। এর জন্য আমাদের স্পনসররাও অন্য লিগের দিকে ঝুঁকবে। এই সব কারণের কথা ভেবেই ভারতীয় প্লেয়ারদের অন্য কোনও লিগে খেলার ছাড় দেওয় হচ্ছে না।’’
আরও খবর: আইপিএল নিলামে ৩৫১জন ক্রিকেটার
এটা যদিও প্রত্যাশিতই ছিল। বিসিসিআই-এর এই একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে যাওয়াটা তখনই বোঝা গিয়েছিল যখন দীনেশ কার্তিক ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। এ ভাবে একজন, দু’জনকে সুযোগ দিলে আরও অনেকেই চাইবেন দেশের বাইরের বিভিন্ন লিগে খেলতে। তখন সমস্যায় পড়তে হবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। দীনেশ কার্তিকের আর্জিও খারিজ করে দিয়েছে বিসিসিআই। ইউসুফ পঠান ২০০৭-এর টি২০ বিশ্বকাপ ও ২০১১-র আইসিসি বিশ্বকাপ দলের সদস্য ছিলেন। কিন্তু এই মুহূর্তে বিসিসিআই-এর চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার নন তিনি। তাঁকে হংকং লিগে খেলার ছাড়পত্র দেওয়ায় বরোদা ক্রিকেট বোর্ড ও বিসিসিআইকে ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন তিনি। বলেন, ‘‘এটায় খেলতে পারলে আইপিএল-এর আগে খুব ভাল হত। কারণ, আফ্রিদি, মিলস, ড্যারেন সামিদের মতো বিশ্বের সেরা প্লেয়াররা খেলবে এই লিগে। গত বছরের আইপিএল-এর পর আমি বাংলাদেশ ও কেনিয়ায় ৫০ ওভারের ডোমেস্টিক টুর্নামেন্ট খেলেছি। আর গত কয়েকমাস ধরেই হংকং টি২০ লিগের দলগুলো আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল।’’ দেশের হয়ে তিনি শেষ টি২০ ম্যাচ খেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০১২তে।