Euro 2020

Euro 2020: কে প্রথম ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন? কার জন্য জীবন ফিরে পেলেন এরিকসেন?

সবাই ধরেই নিয়েছিলেন, হয়ত আর ফিরবেন না ২৯ বছরের মিডফিল্ডার।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২১ ০২:০৩
Share:

এরিকসনকে বাঁচানোর সেই ঘটনা। ছবি: টুইটার থেকে

যখন ডেনমার্ক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং উয়েফা থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হল, ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন সুস্থ আছেন, কথা বলছেন, স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল ফুটবল বিশ্ব। তার মাত্র ঘণ্টা খানেক আগেও মনে হচ্ছিল যা অসম্ভব। সবাই ধরেই নিয়েছিলেন, হয়ত আর ফিরবেন না ২৯ বছরের মিডফিল্ডার। ঠিক কার জন্য সম্ভব হল এই অসম্ভব? এরিকসেনকে জীবন দিলেন তাঁর দলের অধিনায়ক সাইমন কায়ের।

Advertisement

এরিকসেনের জীবন ফিরে পাওয়ার জন্য অনেকেরই কৃতিত্ব প্রাপ্য। তিনি যখন মাটিতে পড়ে গেলেন, তখন রেফারি অ্যান্টনি টেলর একটুও সময় নষ্ট না করে খেলা থামিয়ে দেন। এরপর চিকিৎসক দল অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করে দেন। ডেনমার্কের ফুটবলাররা এরিকসেনের চারপাশে বলয় তৈরি করেন, যে দৃশ্য ফুটবল ইতিহাসে জায়গা করে নেবে।

কিন্তু এঁদের সবাইকে ছাপিয়ে যান ড্যানিশ অধিনায়ক কায়ের। তিনি সবার আগে ছুটে যান এরিকসেনের কাছে। তাঁর দলের সবথেকে নির্ভরযোগ্য ফুটবলারের জিভ যাতে গলায় আটকে না যা, সেটা নিশ্চিত করেন। তারপর এরিকসেনের বুকে চাপ দিয়ে কৃত্রিম ভাবে তাঁর শ্বাস প্রক্রিয়া চালু রাখেন। চিকিৎসকরা মাঠে আসার আগেই কায়ের সতীর্থর জন্য সিপিআর চালু করে দেন। এসি মিলানের এই ডিফেন্ডার ইটালি লিগে তাঁর চিরপ্রতিপক্ষ ইন্টার মিলানের মিডফিল্ডারের জন্য আক্ষরিক অর্থে ঝাঁপিয়ে পড়েন। দেশীয় সতীর্থদের নিয়ে এরিকসেনের চারপাশে প্রাচীর তৈরি করে দেন। তারপর চিকিৎসকরা এসে এরিকসেনকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। বাকিটা ইতিহাস।

Advertisement

পরে দেখা যায় কায়ের মাঠেই এক মহিলাকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। আর সেই মহিলা হাউ হাউ করে কাঁদছেন। তিনি এরিকসেনের স্ত্রী সাবরিনা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন