স্প্রিন্ট ডাবল করেও ‘ধরাশায়ী’ বোল্ট

একশোর থেকেও সহজে দু’শো মিটারে সোনা জিতে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ফের ‘স্প্রিন্ট ডাবল’ করলেন উসেইন বোল্ট। বেজিংয়ের ‘পাখির বাসা’ সাত বছর পরে আবার বিদ্যুৎপৃষ্ট! যে ‘বার্ডস নেস্ট’ স্টেডিয়ামের ট্র্যাকেই ২০০৮ অলিম্পিকে জামাইকান মহাতারকার জন্ম। যে মহাতারকা তার পরের সাত বছরে অলৌকিক স্তরে রূপান্তরিত!

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৫ ০৪:০২
Share:

আমিই সেরা। রেসের দশ মিটার বাকি থাকতে বুক ঠুকে ঘোষণা বোল্টের। ছবি: এএফপি।

একশোর থেকেও সহজে দু’শো মিটারে সোনা জিতে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ফের ‘স্প্রিন্ট ডাবল’ করলেন উসেইন বোল্ট। বেজিংয়ের ‘পাখির বাসা’ সাত বছর পরে আবার বিদ্যুৎপৃষ্ট! যে ‘বার্ডস নেস্ট’ স্টেডিয়ামের ট্র্যাকেই ২০০৮ অলিম্পিকে জামাইকান মহাতারকার জন্ম। যে মহাতারকা তার পরের সাত বছরে অলৌকিক স্তরে রূপান্তরিত!

Advertisement

কিন্তু সেই তিনি বোল্ট এ দিন ট্র্যাকে মুখ থুবড়ে পড়েন! ভাগ্যিস ততক্ষণে দুশো মিটারের ফাইনাল শেষ হয়ে গিয়েছে। যাতে বছরের সেরা সময় (১৯.৫৫ সেকেন্ড) করে বোল্ট তাঁর মহাপ্রতিদ্বন্দ্বী মার্কিন জাস্টিন গ্যাটলিনকে চার দিন আগের একশো মিটারের তুলনায় অনেকটাই পিছনে দ্বিতীয় স্থানে (১৯.৭৪ সেঃ) রেখে দেন আজ।

কিন্তু তার পরে যখন ট্র্যাকের ধারে তিনি হালকা জগিং করছেন, অন্যমনস্ক ভাবে হাঁটাহাঁটি করছেন একেবারে কাছাকাছি থাকা এক টিভি ক্যামেরাম্যান আচমকা ভারসাম্য হারিয়ে পিছন থেকে বোল্টের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়েন। দু’জনেই চিৎপাৎ। বোল্টের তো চোটই লেগে যেতে পারত। সাধারণত মজার মানুষ বোল্টও যার পর বলে দেন, ‘‘ও তো আমাকে মেরেই ফেলছিল! কী যে ঘটল কিছুই বুঝিনি সেই সময়।’’

Advertisement

তবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে তাঁর দশ নম্বর সোনা জয়ের ব্যাপারে মোটেই অনিশ্চিত ছিলেন না নাকি বোল্ট! এমনিতেই বলাবলি শুরু হয়ে গিয়েছে, গ্যাটলিন-বধে বোল্টকে জার্সি ভেজাতেও হয় না। না ঘেমেই দুশো মিটারের সোনা তুললেন বোল্ট। যিনি নিজেও এ দিন রেস শেষে বলেছেন, ‘‘আমার আজ এই রেস জেতা নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না। সব মিলিয়ে বিশ্ব মিট থেকে দশটা সোনা তুলতে পেরে আমি খুশি। বিশেষ করে যখন লোকে বলাবলি করছিল যে, আমি হারতে পারি। কিন্তু যতক্ষণ আমার কোচ আমাকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী, ততক্ষণ আমি সুপার আত্মবিশ্বাসী।’’

এ দিনের দুশো মিটার ফাইনাল শেষে ট্র্যাকের ধারে ইলেকট্রনিক্স টাইম বোর্ডের পাশে বোল্ট-গ্যাটলিনের আড্ডাকে বরং মিডিয়া রেসের চেয়ে বেশি আকষর্ণীয় বলছে। তুলনা করা হচ্ছে, যেন বাসের অপেক্ষায় দু’জন দ্রুত মানুষ অপেক্ষমান। এতটাই নাকি স্বাভাবিক সেই আড্ডার ফ্রেম!

পাঁচ দিনের মধ্যে ফেভারিট গ্যাটলিনকে দু’বার হারাতে মিডিয়া আজ বলা শুরু করেছে, বোল্ট অন্য গ্রহের স্প্রিন্টার। এ দিন ফা‌ইনালে বোল্টের সঙ্গে দৌড়নো ব্রিটিশ স্প্রিন্টার হার্নেল হিউজ বলেছেন, ‘‘ও জীবন্ত কিংবদন্তি। এ বার বোল্টের ডাবল নিয়ে আমারও সামান্য সংশয় ছিল। কিন্তু ও অদ্বিতীয়। বড় আসরে ঠিক কী করতে হয় সেটা ওর চেয়ে ভাল কেউ জানে না। পারেও না। নইলে কী আর টানা পাঁচটা মেজর চ্যাম্পিয়নশিপে কেউ ‘স্প্রিন্ট ডাবল’ করতে পারে!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন