উথাপ্পা
টি-টোয়েন্টিতে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের এক জনের টিকে থাকাটা প্রথম শর্ত। এটা মাথায় রেখেই এ দিন ব্যাট করে গেল উথাপ্পা। আগের দিন যেটা হয়নি। প্রায় নিখুঁত ইনিংস। দ্রুত তিন উইকেট পড়ে গিয়ে চাপে পড়লেও অকারণ কোনও ঝুঁকি নেয়নি। শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে খেলার চেষ্টা করে গিয়েছে। মারার সময় যেমন মেরেছে, তেমনি ধরেও খেলেছে।
রাসেল
রাসেলকে পাঁচে পাঠানোর ফাটকাটা কাজে লেগে গেল। তিনটে পর পর উইকেট চলে যাওয়ায় ওই সময় আস্কিং রেট দশের উপর উঠে গিয়েছিল। গম্ভীরের হাতে পিঞ্চ হিটার ছিল পাঠান আর রাসেল। আগের দিন পাঠান ফাটকা কাজে আসেনি। এ দিন রাসেল চাল খেটে গেল। এই মুহূর্তে আমার কাছে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার রাসেল। ইডেনের স্পিন-সহায়ক উইকেটেও ও জাডেজাকে মাথা তুলতে দেয়নি। ছাড়ার আর মারার জন্য ঠিক বলটা বেছে নিয়েছে।
হগ
সুনীল নারিন যে টিমে নেই সেটা মনে হয়নি। ব্র্যাড হগ ওর অভাবটা বুঝতেই দেয়নি। যে কাজটা ভাল করতে পারে, সেটাই করে গেল। চায়নাম্যান, গুগলিটা ঠিক জায়গায় ফেলল। সবচেয়ে বড় কথা, ওর গ্রিপ দেখে ব্যাটম্যানরা বুঝতে পারেনি বলটা কোন দিকে যাবে। উদাহরণ, ফাফ দু’প্লেসির উইকেট। ফাফ বলটা ভিতরে আসবে বলে স্টেপ আউট করে লং অনের উপর দিয়ে পাঠাতে গিয়েছিল। বলটা উল্টো দিকে যায়। ফল সহজ স্টাম্পিং।
ক্যাপ্টেন্সি
যে কোনও টিমে দু’ধরনের বোলার থাকে। উইকেট তোলার আর রান বাঁচানোর। গম্ভীর এই দু’টো অস্ত্রই দারুণ ব্যবহার করেছে। উইকেট নেওয়ার সময় কাজে লাগিয়েছে হগ, চাওলা, কামিন্সকে। আবার সেই কামিন্স যখন মার খেয়েছে, ডিফেন্সিভ বোলার হিসেবে নিয়ে এসেছে পাঠানকে। প্লাস ব্যাটিংয়ের সময় রাসেল ফাটকাও পুরো হিট।
পরিকল্পনা
চিপকে রান তাড়া করতে নেমে গম্ভীরদের দেখে মনে হয়নি কোনও স্ট্র্যাটেজি ছিল। ইডেনে প্ল্যানটা কাজে লাগল সবাই নিজেদের দায়িত্বটা সামলে দেওয়ায়। ওপেনারদের মধ্যে একজনের টিকে থাকা দরকার ছিল। মণীশ, গৌতম, সূর্য আউট হওয়ার পর দ্রুত রান তুলতে নামবে কেউ। দায়িত্বটা ছিল রাসেলের উপর। এই পরিকল্পনাটা সুপারহিট।