জাতীয় দাবায় অব্যবস্থা। —প্রতীকী চিত্র।
ভারতীয় দাবার কঙ্কালসার চেহারা বেরিয়ে পড়ল। না, বিদিত গুজরাতি, ডি গুকেশ, আর প্রজ্ঞানন্দদের পারফরম্যান্স নিয়ে কোনও কথা হচ্ছে না। প্রশ্ন উঠছে, ভারতীয় দাবার প্রশাসনে য়াঁরা আছেন, তাঁদের নিয়ে।
অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরে জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতায় কর্তাদের অপদার্থতার ছবি পরতে পরতে ফুটে উঠল। একটি মাত্র তাঁবু খাটিয়ে চলছে জাতীয় দাবা। সেখানে চুঁইয়ে পড়ছে বৃষ্টির জল। সঙ্গে তাঁবুর উপরে বাঁদরের লাফ।
এ বারের ৬২তম জাতীয় দাবা আয়োজিত হয়েছিল গুন্টুরের ভিগনান বিশ্ববিদ্যালয়ে। একটি তাঁবু খাটিয়ে গোটা প্রতিযোগিতা হয়। সেই তাঁবুর নীচে একসঙ্গে ৪০০ দাবার বোর্ড পেতে খেলা হয়। সেখানে খেলোয়াড়, কোচ, অভিভাবকদের ভিড়। তার মধ্যেই অনবরত বিদ্যূৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া। এখানেই শেষ নয়। প্যাচপ্যাচে গরমের মধ্যে শুরু হয় বৃষ্টি। সেই বৃষ্টির জল তাঁবুর কাপড় ভেদ করে চুঁইয়ে পড়ে ভিতরে। দাবার বোর্ড, স্কোর শিট ভিজে যায়।
এই পর্যন্ত তবু ঠিক ছিল। এর সঙ্গে শুরু হয় বাঁদরের লাফালাফি। কয়েকটি বাঁদর তাঁবুর উপরে লাফাতে থাকে। কয়েকটি বাঁদর ভিতরে ঢুকে পড়ে।
এক প্রতিযোগী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “প্রথম দিনই টেন্টে জল ঢুকে যায়। ছাউনি থেকে ফোঁটা ফোঁটা জল পড়ছিল বোর্ডে। আলো নিবে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে একাধিক বার। প্রথম দিন তিন–চার বার হয়েছে। আমাদের অনবরত ঘড়ি দেখতে হয়। কিন্তু পারিনি। তার সঙ্গে ছিল আর্দ্র, গরম পরিবেশ। পরে এয়ার কুলার লাগানো হলেও তাতে অত বড় তাঁবুতে গরম কমেনি। এটা যেন একটা আউটডোর সার্কাস।’’
অভিযোগ ওঠে খাবার নিয়েও। এক প্রতিযোগী বলেন, ‘‘পুরো বিশৃঙ্খলা! খাবারের ব্যবস্থাও খেলার মতোই পানসে। রোজ একই খাবার। শুধুই নিরামিষ। প্রোটিনের ঘাটতি স্পষ্ট!”
এ মাসেই গোয়ায় হবে দাবা বিশ্বকাপ। তার আগেই জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের এই অব্যবস্থা তুলে দিল আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন। ভারত কি বিশ্বকাপ করার জন্য প্রস্তুত?