চার বছরে বিরাট পুরো পাল্টে গিয়েছে: কুম্বলে

নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে পিচ কী রকম হবে, তা নিয়ে কিউরেটরকে ফোন করতে চান না অনিল কুম্বলে। বরং ভারতীয় কোচের সাফ কথা, পিচ তৈরি করা কিউরেটরের কাজ, সেটা তাঁদের উপরই ছাড়া ভাল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:০৮
Share:

নতুন পরীক্ষা নিউজিল্যান্ড।

নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে পিচ কী রকম হবে, তা নিয়ে কিউরেটরকে ফোন করতে চান না অনিল কুম্বলে। বরং ভারতীয় কোচের সাফ কথা, পিচ তৈরি করা কিউরেটরের কাজ, সেটা তাঁদের উপরই ছাড়া ভাল।

Advertisement

আগামী পাঁচ মাসে ঘরের মাঠে ১৪টা টেস্ট। যার প্রথমটা দশ দিন পর থেকেই। তার আগে উইকেট নিয়ে অযথা হইচই করতে যে রাজি নন, তা জানিয়ে কুম্বলে বলেছেন, ‘‘উইকেট তৈরি তো কিউরেটরের কাজ। হোম কন্ডিশন হোম টিমকে সাহায্য করবে, এটাই তো স্বাভাবিক। আর এখানে স্পিনের আধিপত্যই বেশি। কিন্তু এই সময় যদি আশা করি প্রথম বল থেকেই উইকেটে ধুলো উড়বে, এটা অস্বাভাবিক।’’

কেন এই কথা বলছেন কুম্বলে? তার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটকে জানান, ‘‘বর্ষার শেষ দিকে আমরা খেলতে নামছি। কেমন উইকেট পাব, সেটা আন্দাজ করা সহজ নয়। বেশিরভাগ পিচই হয়তো ভাল করে রোদ পাবে না। এ ক্ষেত্রে প্রকৃতির দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে। কে কেমন উইকেট চাইছি, তার চেয়ে এখানে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল কিউরেটরদের কেমন উইকেট তৈরি করতে দেবে প্রকৃতি। অযথা তাঁদের চাপ দিয়ে লাভ কী?’’

Advertisement

তবে কুম্বলে তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন, ‘‘ভারতীয় উইকেটে বল এমনিতেই টার্ন করে। কিন্তু কখন, কতক্ষণ পর থেকে সেটা হবে, তা নির্ভর করে কেমন ভাবে পিচটা তৈরি হচ্ছে, তার উপর। তাই পিচ নিয়ে বেশি কথা না বলে দলের খেলা নিয়ে কথা বলাই ভাল।’’

পিচ নিয়ে ধন্দে থাকলেও তাঁর দলের ক্যাপ্টেনকে নিয়ে কোনও চিন্তা নেই ভারতীয় কোচের। বিরাট কোহালির পেশাদারিত্বে মুগ্ধ তিনি। আর একটি ওয়েবসাইটকে ভারতীয় কোচ বলেন, ‘‘ভারতীয় দলে এত পেশাদার আর কেউ আছে বলে মনে হয় না। প্রস্তুতি, ফিটনেসে উন্নতি আর ওয়ার্ক এথিক্সের দিক থেকে ও সেরা।’’ ২০১২-তে যখন কুম্বলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের মেন্টর ছিলেন, তখন বিরাটের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। আর এখনও করছেন। দুই সময়ের কোহালির মধ্যে ফারাক কতটা, তা বলতে গিয়ে কুম্বলে বলেন, ‘‘বিশাল ফারাক। এখন বিরাট এতটাই পেশাদার যে, পারফরম্যান্স ভাল করার জন্য কোনও কিছুতে আপস করে না। চার বছর আগে কিন্তু ওকে এতটা সিরিয়াস দেখিনি, যতটা এখন দেখছি। আসলে ও বোধহয় বুঝেছে যে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হলে ওকে কতটা মরিয়া হতে হবে। ওর থেকে এখন এই ব্যাপারটা গোটা টিমে ছড়িয়ে পড়ছে। এই সুস্থ পরিবেশটা বিরাটের জন্যই তৈরি হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন