তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে শ্রীলঙ্কার হারটা একেবারেই অবাক করার মতো নয়। দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ১৩০-৭ করে দিয়ে বাগে পেয়েও জিততে না পারায় যে মানসিক ধাক্কাটা ওরা খেয়েছে, এটা তারই ফল বলতে পারেন। ওইরকম একটা হারের ধাক্কা কাটিয়ে উঠে জয়ে ফিরতে যে ক্ষমতা লাগে, তা এই শ্রীলঙ্কা দলের যে নেই, সে তো এখন কারও অজানা নয়।
সিরিজ জয় যখন নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে, শেষ দুটো ম্যাচে বিরাট কোহালির উচিত সবাইকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো। যেমন কেদার যাদবকে তিন নম্বরে নামিয়ে দেখতে পারে। হার্দিক পাণ্ড্য নামুক চারে। শার্দূল ঠাকুর নতুন বল হাতে কেমন করে, সেটাও একবার দেখে নেওয়া যেতে পারে। বুঝতেই পারছি এই অবস্থায় বিরাটদের শিবিরে এখন ৫-০-র চিন্তাভাবনা চলছে। তবে আমার বিশ্বাস, এই পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো করা সত্ত্বেও তা হয়ে যাবে।
রবিবার শ্রীলঙ্কার আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্তে বেশ অবাক হয়ে যাই। যে দলটা প্রথম দুটো ম্যাচই আগে ব্যাট করে হেরেছে, সেই দল টস জিতেও কি না আগে ব্যাট করারই সিদ্ধান্ত নিল! ক্রিকেটে একটা প্রবাদ আছে, কেউ একই ভাবে খেলা চালিয়ে গেলে ফলও একই হয়। এই ম্যাচেও তা-ই হল। মাত্র দুশো রান করে আর যাই হোক ভারতকে হারানো যায় না। শ্রীলঙ্কার নির্বিষ বোলিং নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু ওদের ব্যাটিংও মোটেই ভাল নয়। খুবই হতাশাজনক।
আরও পড়ুন: শুরুই হয় একশো সিট আপে
রোহিত শর্মাকে আরও একবার তার স্বমহিমায় দেখা গেল। ও যখন ওর স্বাভাবিক খেলাটা খেলে, তখন মেনে হয় ব্যাটিংটা কত সোজা। আকিলা ধনঞ্জয় ওর প্রথম দুটো ওভারেই ভারতকে ধাক্কা দিলেও ধোনি আর রোহিত যে জায়গায় নিয়ে গেল ভারতকে, সেই জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো খুব কঠিন ছিল।
এ বার শ্রীলঙ্কা কোন দিকে যাবে? উত্তরটা খুব একটা কঠিন নয়। ওরা প্রত্যেকে নিজেরাই নিজেদের জিজ্ঞেস করুক, একক ভাবে এর চেয়ে ভাল ওরা আর কী করতে পারে? দলে জায়গার কথা না ভেবেই এখন খেলতে হবে ওদের। বল দেখো আর মারো। কারণ, বল যত দেখবে আর মারবে, তত বেশি রান উঠবে। এ ছাড়া এই অবস্থা থেকে বেরোনোর আর কোনও রাস্তাই নেই।