জামাইকা টেস্টে ভারত দারুণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামবে। সেটা শুধু অ্যান্টিগা টেস্ট জয়ের জন্য নয়। দলের ক্রিকেটীয় শৃঙ্খলার জন্যও। জানি এই বিপক্ষ বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন নয়। কিন্তু সেটা কারও হাতে নেই। সিরিজে লড়াই আমদানি করতে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেই নিজেদের খেলার মান বাড়াতে হবে।
মনে হয় না ভারতীয় দলে কোনও বদল হবে। অ্যান্টিগার পিচে সে রকম বাউন্স ছিল না। তবু পেসাররা দারুণ করেছে। যেটা ভারতকে বাড়তি একটা আশ্বাস দেবে। অনিল কুম্বলে-বিরাট কোহালির কাছে যেটা সবচেয়ে বেশি তৃপ্তির, সেটা হল অ্যান্টিগা উইকেটে পেসারদের গতি, ধারাবাহিক লাইনে বল করা আর বিপক্ষকে গতি দিয়ে বারবার ধাঁধিয়ে দেওয়া। বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানরা পেসারদের বাধ্য করে লাইন-লেংথ ভুল করতে। কিন্তু এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিং বিভাগ ভারতীয় বোলিংয়ের উপর চাপ দিতে পারেনি।
ভারতের চিন্তার বিশেষ কিছু নেই। তবে সিরিজের আলোচ্য বিষয় হল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ কী ভাবে নিজেদের উন্নত করবে? ওরা অচেনা এক তরুণ পেসারকে দলে নিয়েছে। অতীতের ক্যারিবিয়ান পেসারদের গতি ছিল। কিন্তু এই দলের তিন পেসারের মধ্যে দু’জন, বিশেষ করে হোল্ডার আর ব্রেথওয়েট, টিম বিরাটের কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছে।
এই দু’জনের কেউ প্রধান বোলার হতে পারে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এর মধ্যে এক জনকে অলরাউন্ডার নিতে হবে। সঙ্গে তিন জন খাঁটি পেসার, যারা উইকেট নেবে আর চাপটা ধরে রাখবে। ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রেও কথাটা প্রযোজ্য। কোনও টেস্টেই ২৫০ রান যথেষ্ট নয়। ব্যাটসম্যানদের আরও দম দেখিয়ে বড় সেঞ্চুরি করতে হবে।