সেঞ্চুরির পর বিরাট লাফ। ছবি: রয়টার্স।
রাবাডা যখন তাঁর সেই ওভারের শেষ বলটি করতে আসছিলেন তখন বিরাটের নামের পাশে ৯৮। বারাডার বলের সামনে বিরাট। ভেবেই নেওয়া হয়েছিল এই বলেই নিজের সেঞ্চুরিটি সেরে ফেলবেন বিরাট। কিন্তু না, সাবধানী পদক্ষেপ বিরাটের।
এক রান নিয়েই পরের ওভারে স্ট্রাইক নিলেন তিনি। লুঙ্গির প্রথম বলেই আবারও সিঙ্গল। সেঞ্চুরি। মাঠ ঠিক যতটা লাফ দিলেন বিরাট ততটাই বাইরে বসে থাকা কোচ রবি শাস্ত্রীসহ পুরো দল। এই না হলে ক্যাপ্টেন।২১তম টেস্ট সেঞ্চুরিটি করে বুঝিয়ে দিলেন বিরাট আছেন বিরাটেই।
প্রথম ম্যাচে দুই ইনিংসেই চূড়ান্ত ফ্লপ ছিলেন। সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। তাঁর নিজের পারফরম্যান্স সঙ্গে তাঁর দল নির্বাচন নিয়েও কম কাটাছেড়া হয়নি। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ালেন অধিনায়ক বিরাট কোহালি। দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বুঝিয়ে দিলেন একটা ম্যাচের অফ ফর্ম দিয়ে তাঁকে বিচার করা উচিত হবে না।
আরও পড়ুন
‘কোহালিকে দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়!’
দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন দক্ষিণ আফ্রিকা অল-আউট হয়ে যাওয়ার পর ব্যাট করতে নেমেছিল ভারত। কিন্তু লোকেশ রাহুল, চেতেশ্বর পূজারা দলকে ভরসা দিতে পারেননি। একমাত্র মুরলী বিজয় কিছুটা টিকে ছিলেন। উল্টোদিকে তখন বিরাট কী করেন দেখতে মুখিয়ে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। বিজয়ও ফিরলেন ৪৬ রান করে। টিকে থাকলেন একমাত্র বিরাট।
তাঁকে কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি। রোহিত শর্মা ব্যর্থ। ব্যর্থ পার্থিব পটেলও। হার্দিক পাণ্ড্যকে সঙ্গে নিয়ে নিজের সেঞ্চুরিটি সেরে ফেললেন ভারত অধিনায়ক। ১৪৫ বলে ১০০। লুঙ্গি এনগিডির বলে এক রান নিয়ে নিজের সেঞ্চুরিটি সেরে ফেললেন বিরাট।