বিরাট কোহালি ও এমএস ধোনি। ছবি: রয়টার্স।
এই জয়ের পিছনে রয়েছেন তিনিই। বিরাট কোহালির অধিনায়কত্বের নেপথ্যেও সেই তিনিই। ঠিক যে ভাবে উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে পুরো দলকে দেখে নিতেন, উপদেশ দিতেন নামের পাশ খেরে অধিনায়ক শব্দটি সরে অন্য কোথাও টলে গেলেও বদলায়নি ভূমিকা। বদলায়নি এখনও সেই উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে দলকে পরিচালনা করার দক্ষতা। এখন যদিও পুরো দলকে পরিচালনা করার বদলে কানে কানে উপদেশটা দিয়ে দেন বর্তমান অধিনায়ককে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে ভাবে ক্লাইমেক্সটা তৈরি করলেন তিনিই। আর ম্যাচ জিতে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে সেই তথ্য ফাঁস করে দিলেন স্বয়ং বিরাট কোহালিই।
আরও খবর: ফাইনাল নিয়ে সতীর্থদের আগাম সতর্ক করছেন ‘আগ্রাসী’ কোহালি
ম্যাচের আগের দিনই বিরাট বলেছিলেন, শেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে যে ভাবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সেটা তাঁকে উদ্বুদ্ধ করে। আর এ বার ম্যাচ জিতে তিনি বলেন, ‘‘আমি এই জয়ের পুরো কৃতিত্ব নিতে পারব না। আমি এমএস (ধোনি)কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আর আমরা যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এমন মুহূর্তে অফ-স্পিনারদের বল করতে নিয়ে আসার।’’ ১ রানে ১ উইকেট, ৩১ রানে ২, এই অবস্থা থেকে যখন বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেটের পতন হল তখন বাংলাদেশের রান ১৫৪। দুই উইকেট দ্রুত পড়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের হাল ধরে নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল (৭০) ও মুশফিকুর রহিম (৬১)। ২৮ ওভারে বাংলাদেশের তখন ১৫৪/২।
কেদার যাদবের উইকেটের পর অধিনায়ক বিরাট ও কেদারের উৎসব।
সেই মুহূর্তেই একটা ফাটকা খেললেন বিরাট। মাঝ ওভারে নিয়ে এলেন কেদার যাদবকে। আর তা দারুণভাবে কাজে লেগে গেল। তামিমকে প্যাভেলিয়নে পাঠিয়ে বড় পার্টনারশিপের দিকে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে আটকে দেন যাদব। যাঁকে নিয়ে এই পার্টনারশিপ তৈরি করছিলেন তামিম সেই মুশফিকুরকেও ফেরান কেদার যাদবই। এর পর আর বড় পার্টনারশিপ তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশের কোনও জুটিই। বিরাট বলেন, ‘‘কেদার যদিও নেটে খুব বেশি বল করেনি। কিন্তু ও খুব স্মার্ট ক্রিকেটার। ও জানে কী ভাবে ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলা যায়। আর তুমি যদি সে ভাবে বল করতে পার তা হলে সেটা কাজ করবেই। আমার মতে, এ দিন ও সেটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে।’’
শুধু কেদার যাদব নন, কাজে লেগেছে ভুবনেশ্বর কুমার, জশপ্রীত বুমরাহর স্পেলও। এই দুই বোলারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিরাট। বলেন, ‘‘ওরা অসাধারণ। বিশেষ করে শেষ দুটো ম্যাচে ওরা যে ভাবে খেলল। ম্যাচের শেষের দিকে ওরা খুব কার্যকরী। সঙ্গে ওদের উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা।’’ বিরাটের মতে, যে পরিবেশ অতটা বোলিং সহায়ক নয় সেখানেও তাঁরা তাঁদের লাইন ও লেনথ রেখে বল করে গিয়েছে। যা দলকে পুরো টুর্নামেন্টে সমৃদ্ধ করে গিয়েছে।