শেষ রাউন্ডে নাটক, কিস্তিমাত আনন্দের

এই প্রতিযোগিতাতেই র‌্যাপিড বিভাগে সে ভাবে সফল হতে পারেননি আনন্দ। ভক্তরা প্রিয় তারকার এই পরাফরম্যান্স দেখে হতাশ ছিলেন। বুধবার ভক্তদের প্রত্যাশা মিটিয়ে দেন তিনি আগাগোড়া অসাধারণ পারফর্ম করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৬:৩৬
Share:

ত্রয়ী: দুই বিভাগের রানার্স নাকামুরা ও হরিকৃষ্ণের সঙ্গে আনন্দ। পিটিআই

এ রকম নাটকীয় চিত্রনাট্য যে অপেক্ষা করে আছে কে জানত! কলকাতায় সুপার দাবা প্রতিযোগিতার শেষ দিনে যা দেখা গেল। বিশ্বের শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে ব্লিৎজ বিভাগে চ্যাম্পিয়নের খেতাব ছিনিয়ে নিলেন বিশ্বনাথন আনন্দ।

Advertisement

অথচ এই প্রতিযোগিতাতেই র‌্যাপিড বিভাগে সে ভাবে সফল হতে পারেননি আনন্দ। ভক্তরা প্রিয় তারকার এই পরাফরম্যান্স দেখে হতাশ ছিলেন। বুধবার ভক্তদের প্রত্যাশা মিটিয়ে দেন তিনি আগাগোড়া অসাধারণ পারফর্ম করে। তবে খেতাব কিন্তু খুব সহজে আসেনি। মঙ্গলবার ৯টি রাউন্ডের পরে আনন্দ যুগ্ম ভাবে পঞ্চম স্থানে ছিলেন। বুধবার সেখান থেকে পরবর্তী ৯টি রাউন্ডের পরে একেবারে শীর্ষস্থানে থাকা হিকারু নাকামুরাকে ধরে ফেলেন তিনি। দু’জনেরই পয়েন্ট দাঁড়ায় ১২.৫। খেলা গড়ায় টাইব্রেকে। টাইব্রেকের প্রথম গেমে জেতার পরে দ্বিতীয় গেমে ড্র করে নাকামুরাকে হার মানতে বাধ্য করে খেতাব জেতেন তিনি।

অথচ ১৮ নম্বর রাউন্ডের আনন্দ যখন প্রতিদ্বন্দ্বী লেভন অ্যারোনিয়ানের সঙ্গে ড্র করেন তখনও জানতেন না তাঁকে টাইব্রেকের লড়াইয়ে নামতে হবে। আনন্দের খেলা শেষ হওয়ার সময়ও অন্য বোর্ডে লড়াই চলছিল ১৩ বছর বয়সি বিস্ময়-বালক প্রজ্ঞানন্দ রমেশবাবু এবং নাকামুরার। মার্কিন দাবাড়ু ব্লিৎজ বিভাগে বিশ্বের তিন নম্বর। এই প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ র‌্যাঙ্কিংয়ে থাকা খেলোয়াড় তিনি। প্রজ্ঞানন্দকে তিনি প্রবল চাপে ফেলে দিয়েছিলেন। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন তখন প্রজ্ঞানন্দকে হারিয়ে নাকামুরাই চ্যাম্পিয়ন হচ্ছেন। কারণ নাকামুরা এই রাউন্ডে জিতলেই পয়েন্টের দিক থেকে আনন্দকে পিছিয়ে দিতেন। কিন্তু অবিশ্বাস্য ভাবে ঘুরে দাঁড়ান চেন্নাইয়ের খুদে প্রতিভা। নাকামুরাকে ড্র করতে বাধ্য করেন। আনন্দের সামনেও তখন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ চলে আসে।

Advertisement

পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তাই খুদে দাবাড়ুর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে আনন্দ বলেন, ‘‘আমি তো ভেবেছিলাম নাকামুরা আমার চেয়ে হাফ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে। ওই চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে। কিন্তু প্রজ্ঞানন্দ ওই রকম চাপে পড়ে যাওয়ার পরেও দুরন্ত ভাবে ম্যাচটা ড্র করার পরে আমার সামনে টাইব্রেকে খেলার সুযোগ চলে আসে। সেই সুযোগটাই নিয়েছি।’’ পাশাপাশি দু’দশক পরে কলকাতায় ফের কোনও প্রতিযোগিতায় নামার পরে খেতাব জেতার অনভূতি নিয়ে বলেন, ‘‘কলকাতার দর্শকরা সব সময়ই আলাদা। এত দিন পরে এখানে খেলতে নেমে এ ভাবে জিততে পেরে দারুণ লাগছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন