England

রুদ্ধশ্বাস পরিণতির অপেক্ষায়, গুরুত্বপূর্ণ হতে পারেন অ্যান্ডারসন

চতুর্থ দিনের লাঞ্চের পর থেকেই বল নিচু হতে শুরু করে। চা-বিরতির আগের ওভারে পার্ট টাইম স্পিনার ক্রেগ ব্রাথওয়েটের বল স্টোকসের সামনে থেকে ঘুরে চলে যায় স্লিপ অঞ্চলে।

Advertisement

সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২০ ০৬:৫৮
Share:

নতুন: গ্লাভসে-গ্লাভসে উচ্ছ্বাস। ক্রলি-স্টোকসের। শনিবার। ছবি: গেটি ইমেজেস

করোনা আতঙ্কের মাঝে দর্শকহীন স্টেডিয়াম। ‘বলবয়’ বিহীন আউটফিল্ড। তা সত্ত্বেও ক্রিকেট আছে ক্রিকেটেই। প্রথম টেস্টে রোমাঞ্চকর জায়গায় পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা দু’দলেরই।

Advertisement

চতুর্থ দিনের লাঞ্চের পর থেকেই বল নিচু হতে শুরু করে। চা-বিরতির আগের ওভারে পার্ট টাইম স্পিনার ক্রেগ ব্রাথওয়েটের বল স্টোকসের সামনে থেকে ঘুরে চলে যায় স্লিপ অঞ্চলে। চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে যা অশনি সঙ্কেত। এই পরিস্থিতি কাজে লাগাতে হবে ইংল্যান্ডের তরুণ অফস্পিনার ডমিনিক বেস ও সুইং শিল্পী অ্যান্ডারসনকে। উইকেটের এক দিক যে হেতু ভাঙতে শুরু করেছে, সেখানে বল পড়লে নড়াচড়া করবেই। যা কাজে লাগাতে হবে ইংল্যান্ডকে।

ঠিক যেমন কাজে লাগাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিনের শেষে ঘুরে দাঁড়াল আলজ়ারি জোসেফ ও শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের সৌজন্যে। অধিনায়ক হোল্ডার উপলব্ধি করে, বল সুইং করছে না। তাই উইকেটের সোজাসুজি বল রাখতে শুরু করে। ব্যাটসম্যানের সামান্য ভুলেই যাতে সাফল্য আসে। গ্যাব্রিয়েল ও জোসেফও অধিনায়কের দেখানো পথেই হাঁটে। শেষ সেশনে পাঁচ উইকেট তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান আট উইকেট হারিয়ে ২৮৪। এগিয়ে ১৭০ রানে। পঞ্চম দিন দ্রুত তিরিশ রান যোগ করে যদি বিপক্ষকে ব্যাট করতে পাঠানো হয়। রান তুলতে সমস্যায় পড়বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পঞ্চম দিনে এই পিচে আরও ভাঙন ধরবে। তখনই দায়িত্ব বাড়বে অ্যান্ডারসন ও বেসের।

Advertisement

ম্যাচ জুড়ে নজর কেড়েছে গ্যাব্রিয়েল। ক্রিজের কোণ থেকে উইকেটের সোজাসুজি বল করে গেল দ্বিতীয় ইনিংসে। অলি পোপ যে ডেলিভারিতে বোল্ড হয় তা হয়তো ম্যাচের সেরা। ইনসুইং ডেলিভারি অফস্টাম্পে পড়ে সামান্য বাইরের দিকে বাঁক নিতেই আছড়ে পড়ে স্টাম্পে। ময়দানের ভাষায় যাকে বলে ‘পাল্কি হয়ে আউট হওয়া।’

দিনের প্রথম দুই সেশনে যদিও বল সে ভাবে নড়াচড়া করেনি। তবুও কেন এতটা মন্থর গতিতে ইনিংস সাজাল ররি বার্নস ও ডমিনিক সিবলিরা তার কোনও ব্যাখ্যা নেই। ১৬৪ বলে ৫০ করে ফিরে যায় সিবলি। লেগ স্টাম্পে একেবারে দুর্বল। শ্যানন গ্যাব্রিয়েল চেষ্টা করছিল, সিবলির প্যাড আক্রমণ করার। সেই ফাঁদেই পা দিল ওপেনার। লেগস্টাম্পে বেরিয়ে যাওয়া বল গ্লান্স করতে গিয়ে তালুবন্দি হয় শেন ডাউরিচের। বাঁ-দিকে ঝাঁপিয়ে দুরন্ত ক্যাচ নেয় তরুণ উইকেটকিপার। অনেক দিন পরে একজন উইকেটকিপারকে দেখলাম যার ব্যকরণ খুব ভাল। ওর বল ধরার ভঙ্গি ও হ্যান্ড প্লেসিং দুরন্ত। ডাউরিচকে যদি সময় দেওয়া হয়, ভবিষ্যতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বড় সম্পদ হয়ে উঠতে পারে।

চা বিরতির পরে স্টোকস (৪৬) ও জ়াক ক্রলিকে (৭৬) দায়িত্ব নিতে হয় রানের গতি বাড়ানোর। কেন্টের হয়ে খেলা ক্রলি প্রচণ্ড সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। ৪৬ থেকে রিভার্স সুইপ মেরে হাফসেঞ্চুরি করে গেল তরুণ ব্যাটসম্যান। টেস্ট ম্যাচের অন্যতম সেরা শটও এল ওর হাত থেকেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন